ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরকে দেখে দেখে মাঝে মাঝে আমার ছক্কা ছয়ফুরের কথা মনে পড়ে। ছক্কা ছয়ফুর তথা ছয়ফুর রহমান সিলেট শহরের এক সময়ে আলোচিত একটি চরিত্র। যাকে হয়তো সিলেট শহরের বর্তমান প্রজন্মও জানেনা। এরশাদ আমলে সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এই ছয়ফুর রহমান। মার্কা ছিল ডাব। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হারিয়ে এই ডাব মার্কার দরিদ্র শ্রমজীবী ছয়ফুর রহমানের বিজয়কে তৎকালীন প্রচলিত রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীর অনাস্থা অথবা প্রতিবাদ হিসাবে দেখা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারনার টাকা-পয়সা তার ছিলোনা। এলাকায় এলাকায় বিনে পয়সায় চালানো হয় তার ভোটের প্রচার। সেভাবেই তার জন্যে ব্যবস্থা করা হয় পোলিং এজেন্টেরও। এভাবে অভূতপূর্ব বিজয়ের পর তার নাম হয়ে যায় ছক্কা ছয়ফুর। সিলেটে সাধারনভাবে সফল কাউকে বলতে গিয়ে বলা হয়, ‘ছক্কা মারছেরে!’ নির্বাচনী বিজয়ের পর সিলেটে আমি তার ইন্টারভ্যু করতে গিয়েছিলাম। নোটে তার নাম ‘সাইফুর রহমান’ লিখছি দেখে তিনি সংশোধন করে দিয়ে বলেন, ‘ছাগলোর ছ’ দিয়া ছয়ফুর লেখোবা’।
সেই ছক্কা ছয়ফুর আর দ্বিতীয়বার নির্বাচনে জয়ী হননি। দৃশ্যপট থেকে নিষ্ক্রান্ত হতেও তার সময় লাগেনি। কারন সবার টিকে থাকতে লাগে নিজস্ব একটি ভিত্তি তথা সংগঠন। যা তার ছিলোনা। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে উত্থান নুরুল হক নুরুর। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সব ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল ছাত্র-জনতার অধিকার ভিত্তিক। এমন কি নিরাপদ সড়কের আন্দোলনটিও ছিল জননিরাপত্তার অধিকার সংশ্লিষ্ট। কিন্তু কোটা আন্দোলনটি ছিল খুব কমসংখ্যক ছাত্রছাত্রীর স্বার্থ চিন্তার। এরা সরকারি চাকরি চায়। অথচ সরকারি চাকরির সুযোগ সীমিত। সরকারি ব্যয় কমাতে সরকারি চাকরি ভবিষ্যতে আরও কমাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার কর্তন ছিল এই আন্দোলনের মূল টার্গেট। যা বহুদিন ধরে ছিল জামায়াত-শিবিরের মনের কথা। এরপর সরকার রেগেমেগে গোটা কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দেয়। যা পুরোপুরি বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী। কেউ একজন উচ্চ আদালতে গেলেই এটি বাতিল হয়ে যাবে। কারন প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত কারো কথায় বা চাপে বাতিল-কর্তন করা যায়না। আদিবাসী-নারী-প্রতিবন্ধী কোটায়ও হাত দেয়া যায়না। রাষ্ট্র এসব বিষয়ের সাংবিধানিক গ্যারান্টার।
কিন্তু প্রচলিত সব ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ-ছাত্রদল যেহেতু মূলধারার রাজনীতির বাইরে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা-ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন করেনা বা তারা সাধারন ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বও করেনা তাই নূরুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদের পিছনে সমবেত হন সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা। ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের অনেক নীরব সমর্থক যোগ দেয় এই আন্দোলনে। ছাত্র শিবির যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারেনা তাই পিছনে থেকে এবং অনলাইনের নুরুর আন্দোলনকে এরা পিছন থেকে শক্তি যুগিয়েছে। সশরীরেও অংশ নিয়েছে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী-সমর্থক। নুরুদের গেটআপের সঙ্গেও অনেক শিবিরকর্মীর মিল আছে। তাই তাদের সবার মিলেমিশে কাজ করতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু কৌশলগতভাবে শুরুতে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার ছবি মাথায় নিয়ে আন্দোলন করে। আবার তাদের মিছিল-সমাবেশ আক্রান্ত হলে মাথায় রাখা ছবি দুটি তারা ফেলে দেয়। তাদের জামায়াত শিবির সমর্থক বলা হলে একপক্ষ ‘রাজাকার হতে চাই’ লেখা ব্যানার তুলে ধরেও মিডিয়াকে ছবি দেয়। আবার নুরুগং বলার চেষ্টা করেন তারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কর্মী।
কোটা বাতিলের ঘোষনার পর এই নুরুগং আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষা জননী ঘোষনা দিয়ে মিছিল করেছে। এরপর ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে ভিপি পদে নুরুল হক নুরু বিজয়ী, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন বিজয়ী হন। যদিও নুরুগং ভোটের দিন থেকেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানান নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ এনে নতুন নির্বাচনের দাবি করতে থাকেন। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাওয়াতে নুরু গণভবনেও যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে কদমবুচি করে বলেন ছোটবেলা মাকে হারানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে দেখলেই তার মায়ের কথা মনে পড়ে। এভাবে নুরু চরিত্র সৃষ্টির শুরু থেকে ধারনা দেবার চেষ্টা হয় এটি আওয়ামী ঘরানার একটি চরিত্র। এতে করে নুরু চরিত্রের রূপকাররা হোঁচট খায়। নুরু তখন তাদের আশ্বস্ত করতে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু গরম কথা বলে। এতে করে নুরুকে যাকে মারে তাদের মনের মধ্যে হয়তো কাজ করে ‘তুমিনা বল্লা ছাত্রলীগ করতা, প্রধানমন্ত্রী তোমার মা, তুমি এভাবে বলবা কেনো’! অথবা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতির কাঠামোটিই এ রকম। নুরুকে মারধরের বিষয়টা নিয়ে একটু পরে আসছি।
নুরু যখন কোটা আন্দোলনের নেতা তখন এই নেতৃত্বের মুখগুলোকে খুব সাধারন দরিদ্র পরিবারের সদস্য হিসাবে উল্লেখ করাতে তাদের নিয়ে ভিন্ন একটি সহানুভূতিরও সৃষ্টি হয়। বলা হয় এরা টিউশনি করে নিজেদের খরচ চালায়। সরকারি রোষানলে পড়ার পর কেউ আর তাদের টিউশনি দিতে চাচ্ছেনা ইত্যাদি। আবার তাদের আন্দোলন এবং ডাকসুতে নুরু ভিপি হবার পর তাদের চেহারা সুরতের গরিবানাও উধাও হয়। এখন জানা যায় নুরুর কোটিপতি আন্টিও আছেন! নুরুর স্ত্রী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকতার বেতন তার হাতে তুলে দিয়ে, ভাই মুদির দোকানের আয় দিয়ে তার ব্যয় নির্বাহ করেন! বাংলাদেশের অবশ্য সব বিজয়ী ছাত্র আন্দোলনের পর এমন ঘটেছে। উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান বিজয়ী হবার পর তৎকালীন ইকবাল হলে তোফায়েল আহমদদের কাছে টাকার ব্যাগ-ব্রিফকেস নিয়ে শিল্পপতি ব্যবসায়ীরা আসতেন বলে প্রচার আছে। নব্বুইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর আমান উল্লাহ আমানরা কিভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছেন সে খবর অনেকের জানা। নুরুদেরও যে টাকার ব্যবস্থা হয়েছে এটি নুরুল হক নুরুর চেহারা-পোশাকে স্পষ্ট। টাকার মৌতাত এমনই যে তা লুকাতে পারে খুব কম লোক। নুরুকে যারা মেরেছে তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন। কারন মারামারির ঘটনা তার অর্থনৈতিক আবিষ্কারকে বিলম্বিত করেছে। ফোনালাপ যে সব ফাঁস হচ্ছিল তা ছিল এর আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
এখন নুরুর মার খাওয়ার প্রসঙ্গে আছি। সোজা কথা এর পিছনে ছাত্রলীগ জড়িত। কেনো জড়িত? এই ছাত্রলীগ আমার কাছে দুধভাত ছাত্রলীগ। এরা শেখ হাসিনা বা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সংগ্রাম দেখেনি। ছাত্রলীগের মার খাওয়া দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি। বাংলাদেশ স্বাধীন করলো আওয়ামী লীগের সত্তুরে বিজয়ী নেতৃত্ব। আবার দেশটা স্বাধীন করার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগকেই দেশে নিষিদ্ধ করে ফেলা হয়। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত জিয়া যতটুকু অনুমতি দিয়েছে ততটুকু রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-ফ্রিডম পার্টির তখন ব্যাপক দাপট ঢাকায়। এরশাদ আমলে আমি পড়তাম ফেনী পলিটেনিকে। জাসদ রবের ছাত্রলীগের দাপটে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী-সমর্থকের হোস্টেলে থাকারও পারমিশন ছিলোনা। মূলত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সুযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারে ছাত্রলীগ। কিন্তু তখনও আজকের মতো এত নেতাকর্মী সংগঠনটির ছিলোনা। অভি-নিরুর নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের দাপট তখনও ক্যাম্পাসে। এরসঙ্গে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার মহড়া। চট্টগ্রাম সহ দেশের নানা অঞ্চলে সক্রিয় শিবিরের রগকাটা বাহিনী। এরসবকিছু সামাল দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে যীশুর মতো প্রান দিতে হয়েছে।
আর এই ছাত্রলীগতো সংগ্রাম বিহীন দুধভাত ছাত্রলীগ। এদের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখে ছাত্রলীগে এসেছে। ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক থেকে শুরু করে ইসহাক আলী পান্না-এনামুল হক শামীম বা অসীম কুমার উকিলদের সংগ্রামও এরা জানেনা। অন্য সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সখ্যের যে সম্পর্ক ছিল এই নেতাদের সেটিও নেই। এদের ক্ষমতার ছায়াতল আর বিলাস জীবন আগের নেতারা চিন্তায়ও ভাবেননি। এখনকার নেতারা ভয় দেখিয়ে আনুগত্য চান। যা ভালোবাসা দিয়ে পাওয়া যায়। নুরুকে এরা সাবেক ছাত্রলীগার হিসাবেই মনে করে। তাকেও তারা আনুগত্যে রাখতে চায়। কিন্তু কোনটা কিভাবে করলে সরকার তথা শেখ হাসিনার উপকার হয় না তিনি বিব্রত হন এটা বোঝার মতো জ্ঞান বা ম্যাচুরিটি-বয়স এর কোনটাই তাদের নেই।
নুরুল হক নুরুর ভবিষ্যত কী? আমারতো মনে হয় তাকে জঘন্য সব কায়দায় মেরে মেরে এখনও টিকিয়ে রাখা হয়েছে। কোটা আন্দোলন চলাকালীন সাধারন গরিব গরিব নেতার ইমেজ-চেহারাটি তার আর নেই। ডক্টর কামাল-রব-মান্না যাদের কাছে নুরু যান, তারা সবাই ছোট দলের বড় নেতা। নিজস্ব কোন গনভিত্তি তাদের নেই। শেখ হাসিনাকে মা’ ডেকে এসে নুরু যে ‘জ্বালাময়ী বক্তব্য’ দেন তা আমি শুনে হাসি। কারন এসব বলতে সংগঠন লাগে। কোটা আন্দোলনের সময় যত ছাত্রছাত্রী তার পিছনে ছিল, ডাকসু নির্বাচনের সময় যারা তাকে যেভাবে ভোট দিয়েছে, কিন্তু এরা যে সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদের অনুসারী নন তা নুরু যত তাড়াতাড়ি হিসাবে নেবেন তত তার ভালো হবে। যেহেতু নতুন ডাকসুর নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসে ডাকসু ভিপির পদ নুরু ধরে রাখতে চান তাই বুদ্ধিমান হলে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চললে বুদ্ধিমানের কাজ করতেন।
কিন্তু দেখা গেলো ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অলআউট একশনের পথে গেলেন। গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেবার পর তিনি তার ডাকসুর জিএস এর পদ থেকে অপসারন চাইলেন। কিন্তু হিসাবটা বুঝলেননা রাব্বানীকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরালেও তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন নুরুর কোটিপতি আন্টির আত্মপ্রকাশের পর তার অপসারনের দাবি এলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিলেন তিনিও তালগাছটা আমার পাট্টি। ছাত্র রাজনীতির প্রতি এখন এমনিতেই দেশের মানুষের আস্থার সংকট আছে। নুরুও যে আর অর্থনৈতিক সাফসুতরো কেউ নন তাও এখন প্রকাশিত।
ডাকসু ভিপি নুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্যে বৈপ্লবিক কিছু করার চিন্তা করেছেন, এমন কিছুও কেউ জানেনা। ডাকসু ভিপির কাছে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোন শিক্ষার্থী আসে তাদেরকে বহিরাগত বলা যাবেনা। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্টের বিরোধী। ভারতের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে নুরু যে বক্তব্য দিয়েছেন, এসবও তিনি দিতে পারেন। কিন্তু এর একটি প্রক্রিয়া আছে। এসব কী তার সংগঠন বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ সভা করে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে? ডাকসু ভিপি হিসাবে দিতে গেলে ডাকসুকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে করতে হবে। নুরু যেমন একা ডাকসু না, ভিপিকে বাদ দিয়ে অন্যরাও ডাকসু না। ছাত্রলীগ নেতৃত্ব এবং নুরু যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের সীমা লংঘনের মাধ্যমে গুলিয়ে ফেলেছেন। ছাত্রলীগ এখানে উদ্ধারের পথ করে নিতে পারবে। কারন তাদের দল ক্ষমতায় আছে। নুরু পারবেননা। কারন তার আত্মপরিচয়ের সংকট আছে। তাকে হাসপাতালে দেখতে আসার সুযোগে জাহাঙ্গীর কবীর নানককে হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কমিটিতে ঢোকার তদবির করে ফেলেছেন নুরুর শশুর। আমার ধারনা আগামীতে নুরুর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক তদন্ত সামাল দিতে গিয়ে তিনি জেরবার হবেন। আগামী ডাকসু নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হবে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল। পৃথক নির্বাচনক করতে গেলে তার সংগঠন তৃতীয়-চতুর্থ হতে পারে। আত্মরক্ষার্থে নুরু যদি ছাত্রদলে যোগ দেন তখন ভেঙ্গে যাবে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ। তখন নুরু হতে পারেন ঢাকার ছক্কা ছয়ফুর।