হে পথিক
তুমি কি ক্লান্ত?
হাঁপ-তাপে ব্যাকুল তুমি
নিত্য আয়োজনে হয়ে আছো দিকভ্রান্ত৷
ফিরে এসো শান্তির নীড়ে
যেথা আছে মুক্ত আকাশ
প্রশস্ত ভূমি, আছে নির্মল বাতাস৷
ধরার সুন্দর চাহনী তোমার সম্মুখে
পাহাড়-পর্বত, গিরিপথ, নদী-সমুদ্র
তরুলতা, বৃক্ষরাজি শোভাবর্ধন
আরো আছে নিশিথে তারা-চন্দ্র৷
সৃজিয়াছে কে এত সুশ্রী-সুন্দর
ধরনীতে যা কিছু বিরাজমান
বিছিয়াছে কে উপযুক্ত ভূতল-মেঝে
যেন স্বর্গপুষ্প মনোহর৷
করেছো কি নিজেকে প্রশ্ন কোনোদিন
বুকে হাত রেখে উন্মুখ প্রাঙ্গনে
দীর্ঘশ্বাস নিয়েছো কি মুক্ত বাতাসে
হৃদয়ে দিয়েছো কি আলোর শিখা
যা ছিল ভঙ্গুর আর কষ্টে-যাতনে৷
হে পথিক
কেন তুমি উদ্ধাস্ত?
তোমায় ঘিরে আছে শত প্রতিকূল
তাই তুমি আজ বিপর্যস্ত!
মহামারি কিবা আহাজারি
করেছে কি তোমায় নির্বাক-নিশ্চুপ,
তাকিয়ে দেখ আছে ফুসরত এখনো
নতজানু হও অদ্বিতীয় মহান দরবারে
মিনতি করো অবনত শিরে
খুঁজে পাবে সেথা শান্তি সখ্যতা-
অপূর্ব নন্দন অপরূপ৷
হে পথিক
এখনো করিবে হেলা?
কে সৃজিল তোমার দেহখানি
এত সুন্দর অবয়ব-আকৃতি
আরো দিয়াছে নির্মল মন, পবিত্র আত্মা
দান করিল সকল সৃষ্টির সুলতানি৷
হৃদচাপা তোমার শত স্বপ্ন
করেছো লালন দিয়েছো ঠাঁই
সবি করে রাখবে কি আচ্ছন্ন?
“আজি দূর করো হীনমন্যতা
চোখ খুলে দেখ কুদরত খোদার
তিনি অসীম, অনন্ত, অপার৷”
মনে রেখ,
তুমি হলে স্বস্তির নিঃশ্বাস
সকলের চোখে অমূল্য অতি
করিবে তোমায় সবে বিশ্বাস৷
পাবে মুক্তি ইহকাল-পরকালে
শুধু বুকে রাখো স্রষ্টার কালাম
তারি তরে মম জীবন সঁপিলাম৷
হে পথিক,
পেয়েছো কি পথের দিশা
কেটেছে কি ঘোর অমানিশা
তাহলে আর দেরি কেন
বাণী পৌঁছিয়ে দিতে হবে সবারি মাঝে
হতে হবে অগ্রগামী শত কোলাহল ভিড়ে
আর নয় পথভ্রান্ত,
এবার ফিরে এসো শান্তির নীড়ে৷
দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন৷ বাবার নাম মাওঃ ছালাহউদ্দিন দেওয়ান ও মায়ের নাম ছালেহা খাতুন৷ চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলা, ফরক্কাবাদ গুলিশা গ্রামের দেওয়ান বংশের সন্তান৷ বর্তমানে অনার্স করছেন চাঁদপুর সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে৷ ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি কবিতা, গজল-সংগীত ও আর্টিক্যাল লেখার প্রতি বেশ ভালোলাগা কাজ করে৷ বলতে গেলে, বরাবরই বাংলা সাহিত্যের প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে তার৷