প্রাণের প্রিয় স্কুল “খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ”। দিনটি ছিল ২৯শে জানুয়ারি ২০১৯, রোজ মঙ্গলবার।
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর সকালের সকল কাজ সেরে নিলাম এবং তৈরি হলাম স্কুলের জন্য অর্থাৎ সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়ে। অবশেষে বাড়ি থেকে রওনা হলাম প্রিয় স্কুলটির দিকে। যাওয়ার পথে দেখা হলো পাশের বাড়ির বন্ধুর সাথে। তারপর দুজনই একত্রেই চললাম। যাওয়ার পথে অনেক কথা হলো বন্ধুর সাথে। যাক,কথা বলতে বলতে পৌঁছে গেলাম ‘স্মৃতির স্কুলটিতে’।
স্কুলের মাঠে পা রাখলাম।তখন প্রিয় বন্ধুদের সাথেও দেখা হয় এবং শ্রূদ্ধেয় স্যার-রাও তখন মাঠে ছিলেন।তখন সবাই স্যার-দের আদেশ গেলাম ‘মসজিদে’। মসজিদে মিলাদের আয়োজন ছিল। সেখানে প্রিয় স্যাররা এবং স্নেহের ছোট ভাইরা ছিল। অবশেষে মিলাদের শেষপ্রান্তে এসে আমাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। শেষ হলো মিলাদ।
এবার শুরু হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের স্কুলের সাবেক শিক্ষনমন্ডলী এবং শ্রদ্ধেয়ভাজন শিক্ষকরা। তারা সবাই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেশ দিলেন। যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে বয়ে আনবে সাফল্য। আমরাও তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম।
আর বিশেষ একটা এই যে,আমাদের বিদায়ের সাথে সাথে এই স্কুল থেকে বিদায় নেন ‘সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব আবু ইউসুফ স্যার’। তার এই বিদায়কে স্মৃতিময় করে রাখতে আমরা সবাই স্যারের জন্য একটি উপহার এনেছি। যা স্যারে গ্রহন করলো এবং স্যারের এই উপহার গ্রহন করাতে আমরা অনেক খুশি হলাম।
আর অন্যদিকে প্রিয় শিক্ষকদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন স্নেহের ছোট ভাই-বোনেরা এবং আমার সহপাঠীদের মধ্যে একজন।
এত স্নেহভরা এবং দুঃখভরা মন নিয়ে শেষ হলো অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানের পর এবার শুরু হয় মিষ্টি বিতরন। যা সকল শ্রেনির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করা হয় আলাদা আলাদা “হলে”।
মিষ্টি বিতরন শেষে আমাদেরকে নিয়ে অর্থাৎ ২০১৯ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের শ্রেণিকক্ষে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাহা পরিচালনা করেছেন ” অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন”-স্যার।তিনি আমাদেরকে আরো অনেক কথা,উপদেশ দিয়েছেন। যেটা করলে আমাদের খুব ভালো হবে। অতএব,আমরা তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনলাম।
আর অন্যদিকে আমাদের পরীক্ষা উপলক্ষে শ্রদ্ধেয় স্যার আমাদের জন্য কলম,পেন্সিল, স্কেল এবং জ্যামিতি বক্সের ব্যবস্থা করেন। অর্থাৎ তিনি আমাদের উপহার হিসেবে এগুলো দিলেন।
শেষ হলো স্যারের আয়োজন সভা এবং আমাদেরকে স্যার বিদায় দিলেন।
বন্ধুদের সবার দুঃখ ভরা মন, কারো কান্না কান্না ভাব, কেউবা কাঁদছে। সবাই সবাইর কাছে চেয়েছে ক্ষমা। অতীতের সব “ভুল”-ভুলে গিয়ে সবাই যেন আজ কোনো এক জগতে আছি। বুঝতে পারি নি। তারপর ভাই ও বোনেরা একে-অপরকে মিষ্টিমুখ করালো এবং সকলের দুঃখভরা মন বিদায় দিয়ে শুরু করলাম আগের সেই স্মৃতি নিয়ে খেলা। মানে একটু দুষ্টামি শুরু করলাম সবার সাথে।
তারপর আরেকটা প্ল্যান হলো;-স্কুলের শেষ দিনটি স্মৃতিময় করে রাখার জন্য সকল বন্ধুদের সাথে এবং শ্রদ্ধেয় স্যারদের সাথে ছবি উঠালাম।
এবার কথা হলো;-বন্ধুদের দাওয়াত গ্রহণ করা।সকলেই একে-অপরের দাওয়াত গ্রহণ করলাম।
বলা যায় যে,দিনটি যেমন উল্লাসের ছিল তেমনি ছিল অনেক বেদনাদায়ক।
কখনও ভুলবো না এই দিনটির কথা, কখনও ভুলবো শ্রদ্ধাভাজন স্যারদের কথা, খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ – কখনও ভুলবো প্রিয় স্কুলটির কথা।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী