ফজলুল বারী: রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু বাংলাদেশের জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানামুখী স্পর্শকাতর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যাতে কেউ বাড়িভাড়া দেয়া না হয়, শরণার্থীরা যাতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, পরিবহনে যাতে তারা চড়তে না পারে এমনসব নির্দেশনা জারী করেছে পুলিশ। একটা দেশ তার নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু গোসাই কিল মারবেন ঠিক আছে কেন শরণার্থীরা ছড়িয়ে পড়ছে তা দেখবেনতো আগে। মনে রাখবেন এই শরণার্থীদের আমরা দাওয়াত করে আনিনি। তারা সখে নিজেদের বাড়িঘর-সম্পদ ফেলে আমাদের দেশে বেড়াতেও আসেননি। ঝড়-সাইক্লোন যখন আসে তখন কোন সীমান্ত মানেনা। আর রোহিঙ্গা সংকটের নিকট সীমান্ততো বাংলাদেশ। যেমন লেবাননের বিপদ সীমান্তের নাম ইসরাইল। প্রাণ হাতে যারা বাঁচার আশায় বাংলাদেশে এসে উঠেছে তাদের বেশিরভাগতো এখনো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন। ত্রান ব্যবস্থায় এখনও শৃংখলা আসেনি। কারন একটা সাইক্লোনের খবর পাবার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার যে সব প্রস্তুতি শুরু হয় এবারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সাইক্লোন মোকাবেলার কোন প্রস্তুতি আমাদের ছিলোনা অথবা এর প্রচন্ড রূপ সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনাও ছিলোনা।
বাংলাদেশে ঢোকার আগে শরণার্থীদের বাড়িঘর মাথার ওপর আচ্ছাদন ছিলো। খাবার ছিলো ঘরে। পিছনে বন্দুকের তাড়া মাড়িয়ে কাটিয়ে ক্লান্ত-বিধবস্ত মানুষগুলোকে আমাদের অভ্যর্থনা করার পরিকল্পনা ছিলোনা। আমাদের প্রথম তাদের বাধা দেবার নিয়ত ছিলো। কারন আগে থেকে আমাদের এখানে অনেক শরণার্থী ছিলো। আমরা নীতিগতভাবে আর নতুন শরণার্থী নিতে চাইনি। কেউ তার দেশে আরেক দেশের শরণার্থী নিতে চায় না। কিন্তু ভীতসন্ত্রস্ত শরণার্থীরা যখন বানের লাহান এসে ঢুকতে শুরু করেছে তখন আর বাধা দেবার অবস্থা ছিলোনা। এ পর্যায়ে সুযোগ সন্ধানীরা জনপ্রতি ২ হাজার বা এরও বেশি টাকা নৌকাভাড়া গুনে নেয়া ছাড়াও মেয়েদের নাকফুল খুলে নেবার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এপারে পৌঁছে শরণার্থীরা আরেক বেদিশা অবস্থার মধ্যে পড়েন। মাথা গোজার ঠাঁই নেই। এত নিরাশ্রয় মানুষকে একসঙ্গে আশ্রয় দেবার অবস্থা-সঙ্গতি আমাদের ছিলোনা। তা সম্ভবও নয়। আগতদের অনেকে বার্মিজ বাহিনীর নৃশংসতায় আহত অবস্থায় এসেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন আগত রোহিঙ্গা নারী শরণার্থীদের নব্বুইভাগ ধর্ষিতা! কিন্তু আজও তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আগতদের অনেকে ট্রমাক্রান্ত। দীর্ঘ পথ হেঁটে এসে এখানে আবার মাথাগোঁজার ঠাঁই না পেয়ে তাদের অনেকে এরমাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের জরুরি সেনিট্রেশন ব্যবস্থায় নেয়া সম্ভব না হওয়ায় এরমাঝে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। টেলিভিশনে তাদের উদ্দেশে ট্রাক থেকে ত্রান ছুঁড়ে দেয়া, ত্রান নিয়ে কাড়াকাড়ির ছবি দেখে চোখে পানি এসেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিকল্পিত ত্রান বিলির অনুরোধ করে লিখেছিলাম ফেসবুকে। আমাকে একাধিকজন অকুস্থল থেকে জানিয়েছেন ভাইরে এভাবে বেসরকারি উদ্যোগে ত্রান দেয়া না হলে ক্ষুধার কষ্টে অনেকে হয়তো এরমাঝে মারাও যেতো। কারন সরকারি সবকিছুতেই সিটিং দিয়ে মিটিং, ফাইল চালাচালি আগে। এসব সিটিং-মিটিং করতে করতেইতো অনেকের প্রান যায়। আর কক্সবাজার প্রশাসনের অত জনবল নেই। যুক্তিগুলো ফেলনা মনে হয়নি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের নেতৃত্বে সুশৃংখল ত্রান বিতরন ব্যবস্থা গড়তেই হবে এবং তা হবে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে ত্রান কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে বলেছিলেন। কিন্তু সেটি শুরু হয়েছে কী? হলে কবে নাগাদ শুরু হবে? এত লোকের মাথা গোঁজার ঠাঁই, শৌচাগার, খাবার-পানির ব্যবস্থা চাট্টিখানি কথা নয়। কাজেই বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর কেউ যদি ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন তাতে আমি অসুবিধা দেখিনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বিপুলসংখ্যক শরণার্থী ভারতে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অথবা ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। একাত্তরে ভারতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অবস্থাপনা, জীবনমান ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতার কারনে তখন ডায়রিয়া-কলেরায় অনেক শরণার্থীর মৃত্যু ঘটে। তেমন মৃত্যুর চাইতে জীবন বাঁচানো অনেক বড়। আমাদের নিজস্ব অনেক সমস্যা থাকা স্বত্ত্বেও এত শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আমরা যে মহানুভবতা দেখিয়েছি এর প্রশংসা করছে মানবিক বিশ্ব। বিশ্বের নানা দেশ থেকে তাদের জন্যে ত্রান সামগ্রী আসছে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে শরণার্থীদের সহায়তার নানা মানবিক আয়োজন চলছে।
সিলেটের এক স্কুল শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন শরণার্থীদের জন্যে তারা স্কুল থেকেই ২ লক্ষ টাকা সহায়তা তুলেছেন! এমন আয়োজন-উদ্যোগ চলছে সারাদেশে। সিডনিতে সোমবার এক সুহৃদের সঙ্গে দেখা হতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা চাইলেন। তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেছি এই সহায়তা যেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের তহবিলে পাঠানো হয়। কারন এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হবে। প্রশাসনিকভাবেই অনেক দায়িত্ব কার্যকর করে যেতে হবে। আজ অনেকে যে সহায়তা করতে চাইছেন সামনে আরেকটি ইস্যু চলে আসলে খুব স্বাভাবিক লোকজন নতুন ইস্যু নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যাবে। আরেকটি বিষয় অনেকের জানা নেই। শরণার্থীদের জন্যে প্রতিষ্ঠিত জরুরি এবং দীর্ঘ মেয়াদী ক্যাম্পগুলোর অনেক খরচ চালায় জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন। অক্সফামের মতো প্রতিষ্ঠান দুই লাখ শরণার্থীর খাবার, মাথার ওপর আচ্ছাদন, সেনিট্রেশন ব্যবস্থা তৈরির কাজ শুরু করেছে। জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান কিন্তু সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন্সের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ চালাতে চায়। সেভ দ্য চিলড্রেন্স এরমাঝে শরণার্থী শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে। শরণার্থী ইস্যুতে যত প্রতিবাদ-মানববন্ধন হচ্ছে, অং সাং সুচির কুশপুত্তলিকা দাহ হচ্ছে, বার্মায় যুদ্ধে যেতে চাইছেন, বার্মার দূতাবাস ঘেরাও’এ যাওয়া হচ্ছে এর চাইতে শরণার্থীদের জন্যে ত্রান সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেবার কাজ করুন। আগে বিপন্ন মানুষগুলো বাঁচান। বার্মা আমাদের ওপর এক ধরনের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা কোন যুদ্ধে জড়াতে চাইনা। আমাদের আরও অনেক কাজ আছে।
উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতি জানাতে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে গেছেন প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা। সারা পৃথিবী এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আগ্রহ নিয়ে শুনবে। বাংলাদেশের সরকার প্রধানের জাতিসংঘ বক্তৃতা এর আগে কখনো দুনিয়া জুড়ে এতোটা আগ্রহের সৃষ্টি করেনি। কারন কিন্তু এই জটিল রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু। যেটি সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ট্র্যাজিক মানবিক বিপর্যয়ের নাম। কাজেই পুরো বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রতিটা পদক্ষেপ-বক্তব্যে সাবধান। প্রতিটা কাজ করতে হবে কথা বলতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। কারন এরসঙ্গে এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্মান ভাবমূর্তি জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মান-ভাবমূর্তি জড়িত। শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেঁদেছেন। বিবিসির সাংবাদিককে বলেছেন শরণার্থী হবার কষ্ট আমরা জানি-বুঝি। যতক্ষন বার্মার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন আমরা তাদেরকে সেখানে ঠেলে দিতে পারিনা। কারন তারা মানুষ। আমরা মানুষ। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রয়োজনে আমাদের খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করে খাবো। প্রধানমন্ত্রীর এ কথাগুলোই হোক শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের গাইডলাইন। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের ওপর অনেক রকমের সামাজিক অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করবে। পাহাড় বনায়ন সহ নানা সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। সাইক্লোন এলে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। আমরা মনুষ্য সৃষ্ট একটি সাইক্লোনের শিকার। শরণার্থীদের অতজন এইডস ভাইরাসরাহী! সত্তুর হাজার শরণার্থী নারী অন্তঃস্বত্তা। এসব তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে অনেকে ভয় ছড়াচ্ছেন! প্লিজ এসব ছড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী-বাংলাদেশের মানবিক দিকগুলোকে খাটো করবেননা। এইডস ভাইরাসবাহী হতে শরণার্থী হওয়া লাগেনা।
বার্মার সামরিক নেতৃত্বে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের নিষ্ঠুরতার শিকার সেদেশের লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পলায়ন, বাংলাদেশের আশ্রয়গ্রহনের বিষয়টি এই মূহুর্তের প্রধান আন্তর্জাতিক খবর। দূর্ভাগ্যজনকভাবে চীন-রাশিয়া-ভারত এই নিষ্ঠুরতার পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব জনমত এখন এই নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আর তাদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশের পক্ষে। সে কারনে বিবিসি-সিএনএন থেকে শুরু করে সব প্রধান বিশ্ব মিডিয়া নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আর বাংলাদেশের পক্ষে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । জাতিসংঘ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থাও স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে নিপীড়িতের পক্ষে। ভেটো ক্ষমতার অধিকারী চীন-রাশিয়া মানুষের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছো? চীনের তাবেদার হয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সরকার? নিষ্ঠুরের পতন অবশ্যাম্ভবী। এদেরও হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক রাশিয়া ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আর কেউতো বাংলাদেশের পক্ষে ছিলোনা। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কথা আবার একটাই, নিষ্ঠুরের পতন অবশ্যাম্ভবী। চোরকে চুরি করতে গৃহস্থকে চোর ধরতে বলা নরেন্দ্র মোদীর ইমেজ বাংলাদেশে শেষ। ভারতেও তার শুধু এ ইস্যুতে অবস্থা টালমাতাল হবে-হচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকাগুলো এর প্রমান। রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনকারীর বার্মার পক্ষ নেয়ায় ভারত-চীন-রাশিয়া যে এখন ইসলামী জঙ্গীদের টার্গেট হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিপদগুলো তারাই তৈরি করছে।
শরণার্থী সংকট বাংলাদেশের অনেক বিপদ তৈরি করবে। একাত্তরে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থী নিয়েও অনেক বিপদ সামাল দিয়েছে ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। শরণার্থী চাপে তাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছিলো। নকশাল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিলো ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। তারা সে সব পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বাংলাদেশও পারবে। বাংলাদেশ অনেক কিছু পারে। অনেক দূর্যোগ সামাল দিয়ে অভ্যস্ত বাংলাদেশ। কোন এলোমেলো অবিবেচক মন্তব্যে যেন আমরা আমাদের অর্জনগুলো, মানবিক ভূমিকাটি খাটো না করি। সেই আশির দশক থেকে বাংলাদেশে যত শরণার্থী এসেছেন তাদের সিংহভাগ কিন্তু বাংলাদেশে নেই। শরণার্থী মর্যাদায় থাকার দেশ বাংলাদেশ না। আমাদের অনেকে ঢালাও বলে বেড়ান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে গেছে! আরে বাবা কোথাও, এমনকি ভারতে যেতেওতো পাসপোর্ট লাগে। আপনি টাকা খেয়ে পাসপোর্ট দিয়েছেন আপনার বিমান বন্দর দিয়ে তারা বেরিয়ে গেছেন সেটি দোষের না তারা বেরিয়ে গেছে সেটি দোষের! তারা এখানে থাকুক তা আপনি চান না, বেরিয়ে গেলেও কথা বলেন, এ কেমন স্ববিরোধিতা? বিদেশে তারা অপরাধ করছে! বিদেশে অপরাধ করতে কী রোহিঙ্গা হওয়া লাগে? অপরাধতো যে কেউ করতে পারে। আর ইউরোপ-আমেরিকায় যত রোহিঙ্গা গেছে আশ্রয় পেয়েছে তাদের সঙ্গে পাসপোর্ট নেই বলেইতো আশ্রয় পেয়েছে। তারা তারা জেনুইন রিফ্যুজি। তাদের কোন দেশ নেই। তাদের জন্মভূমি তাদের স্বীকার করেনা। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেহেতু বার্মা আশ্রয় দেবেনা তাই তারা যাতে সুবিধামতো অন্য কোথাও চলে যেতে পারে সে ব্যাপারেও বাংলাদেশের মনোযোগ দেয়া উচিত। মালয়েশিয়া এরমাঝে ঘোষনা দিয়ে বলেছে আরোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ মালয়েশিয়া এসে পৌঁছলে তারা তাদের আশ্রয় দেবে।