এই যে ১৪, ১৫, ১৬ ডিসেম্বর, এই দিনগুলো একাত্তরে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় প্রস্তুতির। আর মামুনুলের মতো রাজাকারের বাচ্চা, তাদের রাজাকার আব্বু চাচচুদের পলায়নের। তাদের পরিবারের মুরব্বি কারো সংগে যদি পরিচয় থাকে, কথা বলার চেষ্টা করুন। কথায় কথায় বেরিয়ে যাবে তখন আকাশে ভারতীয় বোমারু বিমান দেখে কে কিভাবে পালিয়েছে।
আমার পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমনের সময় ভোলার রাজাকার মোখলেসুর রহমান আমাকে বললেন মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েছে দেখে তিনি তার আওয়ামী লীগ নেতা ভাগ্নের বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার মতো আরও রাজাকার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে আর সবাই ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। তার ভাগ্নে তাকে বলেন মামারে আপনাদের এখন লোকজন হাতের কাছে পেলে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। এরচেয়ে বরং আপনাদের জেলখানায় রেখে আসি। সেখানে অন্তত নিরাপদ থাকবেন।
এরপর রাজাকার মোখলেসুর বলেন জেলখানায় খাইছি দাইছি আর আল্লারে ডাকছি। একদিন শেখ সাব মাফ করে দিলেন। আবার বাইর হইয়া আইলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এই যে শেখ সাহেব মাফ করে দিলেন এ নিয়ে আপনার আজকের মূল্যায়ন কি? রাজাকার মোখলেসুর রহমান তখন জামার আস্তিন গুটিয়ে বলেন, মাফ করবোনা মানে! শেখের ব্যাটার কি সাহস আছিলো আমাদের গায়ে হাত দেয়! এরাই হলো গিয়ে অকৃজ্ঞ রাজাকারের জাত। একাত্তরে আপনাদের পারিবারিক বন্ধন আর জাতির পিতার উদার হৃদয়ের কারনে এরা প্রানে বেঁচে যাওয়ায় আমাদের এখানে মামুনুল, চরমোনাই আর হেফাজত প্রজন্মের পয়দা হয়েছে। অনেক মূল্য দিয়ে শেখ হাসিনার হাতে এদের কয়েকটা পালের গোদার ফাঁসিতে ধংস হয়েছে। বাকিগুলোরও হবে।