আমাদের দূঃখের রাজনীতির গল্প – যেভাবে জায়েজ করা হলো স্বৈরাচারী এরশাদকে!

প্রিয় প্রজন্ম, এখন থেকে আমি মাঝে মাঝে আমাদের দূঃখের রাজনীতির কিছু গল্প বলবো। এর মাধ্যমে আমরা মূল্যায়নের চেষ্টা করবো আমরা কি হতে পারতাম, কি হতে পারলামনা। যেমন ৬ ডিসেম্বর দিনটির গল্প দিয়ে শুরু করি এ লেখা। এই ৬ ডিসেম্বর দিনটি ১৯৯০ সালের। উনত্রিশ বছর আগের এই দিনটায় নতুন এক স্বপ্নে বাংলাদেশ আলোড়িত হয়েছিল। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পতন নিশ্চিত হয়েছিল এ দিনটায়। সেনা প্রধান জেনারেল এরশাদ ১৯৯৮২ সালে ক্ষমতা দখল করে। বাংলাদেশের সব সামরিক শাসন একটি মিথ্যা গল্প দিয়ে শুরু হয়। এবং এরা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে জায়েজ করতে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেছে। যেমন এরশাদ ক্ষমতা দখল করে বলেছিল বিএনপির বৃদ্ধ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার দেশ চালাতে পারছেননা। তাই তাকে ডেকে ক্ষমতা হাতে তুলে দিয়েছেন। পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তা এই এরশাদকে কিন্তু সেনাবাহিনী প্রধান হিসাবে পছন্দ করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জেনারেল জিয়াও একটি মিথ্যা গল্প দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। নারী লোলুপ হিসাবে সেনাবাহিনীতে এরশাদের বদনাম ছিল। জিয়া ভেবেছিলেন এরশাদ মেয়ে মানুষ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। ক্ষমতা দখল নিয়ে ভাববেনা। কিন্তু জিয়ার ধারনা ভুল প্রমান করে ক্ষমতা দখল করে এরশাদ। তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বাংলাদেশকে নয় বছর ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর এতবড় রাজনৈতিক আন্দোলন আর বাংলাদেশে হয়নি।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতন সম্পন্ন হলেও গণআন্দোলনের মুখে এই সামরিক স্বৈরাচার পদত্যাগের ঘোষনা দেয় ৪ ডিসেম্বর। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় গণঅভ্যুত্থান। ঢাকা সহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এখনও অনেক লোক জাতীয় পার্টি করে। কেনো করে তা এ লেখায় লিখবো। এদের অনেকে এখনও মাঝে মাঝে বড় বড় বক্তৃতা দেয়! মশিউর রহমান রাঙা নামের জাতীয় পার্টির তেমন এক নেতা কিছুদিন আগে শহীদ নূর হোসেন সম্পর্কে ঔদ্ধত্ত্ব্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। এই রাঙা এক সময় পরিবহন শ্রমিক ছিল। জাতীয়তাবাদী যুবদল করতো। যেমন আজকের বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ, মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমিন চখা মিয়াও তখন এরশাদের দল করতেন। ক্ষমতার হালুয়ারুটির লোভে মওদুদ-চখা মিয়ার মতো রংপুর যুবদলের রাঙাও তখন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়। এরশাদের পতনের পর সেই ডিসেম্বরের ৪ তারিখ রাতে গণরোষের ভয়ে মওদুদ-রাঙাসহ জাতীয় পার্টির সব নেতা পালিয়েছিল। কারন মানুষ ধরতে পারলে সে রাতে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলতো।

একটা ঘটনা বলি। ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে গণঅভ্যুত্থানের উচ্ছাস মিছিলে অংশগ্রহন শেষে রিকশায় আমি আমার ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের বাসায় ফিরছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন আজকের এটিএন বাংলার সাংবাদিক মানস ঘোষ। মগবাজার মোড়ের কাছে আসতেই আমাদের পিছনের রিকশাটি তেজগাঁর দিকে চলে যায়। সেই রিকশার আরোহী একটি টাওয়ালে মুখ ঢেকে রাখলেও আমি তাকে চিনতে পারি। যিনি আজকের জাতীয় পার্টির নেতা ও ডেমরা এলাকার এমপি আবু হাসান বাবলা। এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে ইনি জাতীয় যুবসংহতির দাপুটে নেতা ছিলেন। এরশাদের পতনের খবর ইনি মুখ ঢেকে পালাচ্ছিলেন।

তখন আমার রিকশা চালককে বললাম, ওই রিকশায় কে গেলেন জানেন? আবু হাসান বাবলার কথা বলতেই ক্ষেপে গেলেন রিকশা চালক! যেন পারলে আমাকেই মারেন! রিকশা চালক বাবলার কথা শুনে বলেন, আমাকে আগে বলবেননা, ওরে ধইরা পিটাইয়া মাইরা ফেলতাম। এদের জন্যে আমরা পেটে পাত্থর বাইন্ধা হরতাল করেছি। তখন জাতীয় পার্টির নেতাদের ওপর জনগনের ক্রোধ ছিল এর রকমই। মোটকথা এরশাদের পতনের পর তার সাঙ্গপাঙ্গ নেতা জনতার মার খাবার ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়। অনেকদিন তারা আত্মগোপন করেছিল।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ দল, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দল এবং মেনন-ইনুদের ৫ দল এই তিন জোট তখন ৯ বছর ধরে চলা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এবং সংগ্রামী ছাত্র জোট। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আমান-খোকন তখন ডাকসুর ভিপি-জিএস ছিলেন। এর বাইরে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরও এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিল। তিন জোটের রূপরেখা অনুসারে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ তখন এরশাদ থেকে ক্ষমতা গ্রহন করেন। তিন জোটের রূপরেখায় ছিল অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। নতুন সরকার  হবে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার। কিন্তু শুরুতে প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে কিছুদিনের জন্যে অস্থায়ী সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছিলেননা বিচারপতি সাহাবুদ্দিন । তখন তাঁকে আশ্বস্ত করে বলা হয় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন করে তাঁর (বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের) প্রধান বিচারপতির পদে ফেরত যাবার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় এই দুই নেত্রীর ঐক্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুই নেত্রী একসঙ্গে বসলে আন্দোলন বেগবান হতো।

স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও সংগ্রামী ছাত্রজোট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এরশাদের সহযোগী কাউকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো আশ্রয় দেবেনা। বিএনপি এই সিদ্ধান্ত প্রথম ভঙ্গ করে। বিএনপি তখন একটি ভাঙ্গাচোরা দল। ক্ষমতার লোভে এর অনেক নেতা এরশাদের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। এরশাদের গুরুত্বপূর্ণ দুই সচিব এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী তখন প্রথমে আওয়ামী লীগে যোগ দেবার চেষ্টা করেন। শেখ হাসিনা তখন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার রোডের বাড়িতে থাকতেন। এম কে আনোয়ার ও কেরামত আলী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ওই বাড়িতে যান। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের সাক্ষাত না দেয়ায় তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যান ধানমন্ডির ২৭ নাম্বার সড়কের বিএনপির তৎকালীন অফিসে। সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে তারা সরকারের মন্ত্রীও হন। মূলত এর মাধ্যমেই পতিত এরশাদের লোকজনের রাজনৈতিক পুনর্বাসন শুরু হয়ে যায়।

এই প্রজন্মের জানার জন্যে আরেকটি তথ্য এখানে যোগ করি। সেই নির্বাচনে শহর ভিত্তিক সব রাজনৈতিক তাত্ত্বিক বিশ্লেষকের ধারনা ভুল প্রমানীত করে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তবে ওই নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী ঢাকায় আমাকে বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে একটি টানাপোড়েন দেখা দেয়। এর কারনও ছিলেন খালেদা জিয়া। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে আসা খালেদা জিয়ার ইমেজটি তখনও ছিল রানীর মতো। বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন ম্যাডাম। খালেদা জিয়া সংসদকে কতোটা নেতৃত্ব দিতে পারবেন এ নিয়ে তখনও অনেকের মনে দ্বিধা ছিল।

 সে কারনে তিন জোটের রূপরেখায় সংসদীয় সরকার পদ্ধতি পুঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও বিএনপি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি কন্টিনিউ করতে চায়। এতে বেঁকে বসেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন বিএনপি সংসদীয় পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান না নিলে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেননা। বিএনপি তখন বাধ্য হয়ে সংসদীয় পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান নেয়। সংসদ নেত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। যুদ্ধাপরাধী হিসাবে পরে তার ফাঁসিতে মৃত্যু হয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরশাদকে তার সেনানিবাসের বাড়িতে গৃহবন্দী করেছিল। ওই অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে রংপুর এলাকার পাঁচটি সংসদীয় আসন থেকে বিজয়ী হন এরশাদ। বৃহত্তর রংপুর এলাকার প্রায় সব কটি আসন এবং সিলেট এলাকার কিছু আসনে পতিত স্বৈরাচারী দলের প্রার্থীরা জিতে গিয়ে রাজনৈতিক চমকের সৃষ্টি করেন। রংপুর এলাকার ভোটারদের বোঝানো হয় রংপুরের ছাওয়াল এরশাদকে ভোট না দিলে তার ফাঁসি হয়ে যাবে।

সিলেট এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিজয়ের কারন হিসাবে অনেকে বলার চেষ্টা করেন ওই এলাকার ভোটাররা নারী নেত্রীত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল! নব্বুইয়ের গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র। কিন্তু এখন যে তথ্যটা লিখবো তা পড়ে এই প্রজন্মের অনেকে মজা পাবেন। নির্বাচনের পরও এরশাদ অবস্থান করছিলেন তার সেনানিবাসের বাড়িতে। কিন্তু সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনের বৈঠকে যোগ নিয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনা। সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন স্বৈরাচারী এরশাদের যেখানে জেলখানায় থাকার কথা সেখানে তাকে জামাই আদরে সেনানিবাসের বাড়িতে কেনো রাখা হয়েছে। এটা দেবরের প্রতি খালেদার আলাদা মমত্ব কিনা এ নিয়েও শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন। মূলত ওই বক্তৃতার পরই এরশাদকে জেলখানায় পাঠানো হয়। ওই সময় সিসিটিভির ক্যামেরাও বসানো হয় এরশাদের কারাকক্ষে। এ নিয়ে কটাক্ষ করে জাতীয় পার্টির তৎকালীন নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন তখন বলেন জেলখানায় এরশাদ কখন কী করেন তা দেখার জন্যে খালেদা ক্যামেরা লাগিয়েছেন। সেই শাহ মোয়াজ্জেম এখন খালেদার দল করেন।

শেখ হাসিনার কারনে এরশাদ যেমন কারাগারে যান আবার শেখ হাসিনার কারনেই এরশাদ কারাগার থেকে বেরিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত হয়ে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে অস্বীকার করে বলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হয়না। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে এরশাদের জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনে আসে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তখনও জাতীয় পার্টির নেতা। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের মন্ত্রী হন। তখন মঞ্জুর দূতিয়ালিতে জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরোন এরশাদ।

এই এরশাদ পরে আবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে চারদলীয় জোট গঠন করেছিলেন। বলেছিলেন নৌকাকে যমুনার চল্লিশ ফুট নীচে ডুবাবেন। এরপর জনতা টাওয়ার দুর্নীতির মামলায় আবার জেলে যান এরশাদ। তখন তার মুক্তির দাবিতে খালেদা আন্দোলনের কর্মসূচি না দেয়ায় খালেদার জোট থেকে বেরিয়েও যায় জাতীয় পার্টি। খালেদা তখন এরশাদের খাজাঞ্চি নাজিউর রহমান মঞ্জুরকে দিয়ে গঠন করান আলাদা জাতীয় পার্টি-বিজেপি। যেটি এখনও আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে বিএনপির সঙ্গেই আছে।

১/১১’র আগে এরশাদ তারেক রহমানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তারেকের সহায়তা নিয়ে তখন তিনি বিদিশাকে তালাকও দেন। কিন্তু জামায়াত বিএনপির স্থায়ী মিত্র হয়ে যাওয়াতে পরবর্তীতে এরশাদের জাতীয় পার্টি হয়ে যায় আওয়ামী লীগের স্থায়ী মিত্র। ২০০৯ এর সরকারে এরশাদের দল ক্ষমতার শেয়ার নেয়। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। আবার ২০১৪’র নির্বাচনে এরশাদকে সঙ্গে রাখা হয় একরকম জোর করে। রওশনের নেতৃত্বে জাপার একটি অংশ অবশ্য সরকারের অংশীদার হয়। ক্ষমতা ভালোবাসতেন এরশাদ। সে কারনে নানা সময়ে নানা কথা বললেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু কথা বলার সময় শেখ হাসিনা কখনও এরশাদকে ছেড়ে কথা বলেননা। এভাবে দিনে দিনে জাতীয় পার্টি শক্তি হারিয়েছে। একদা যুবদলে রাঙা জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীও হয়েছে। শহীদ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে পিঠ বাঁচাতে পরে আবার মাপও চেয়েছে রাঙা। কিন্তু জাতীয় পার্টি নামের স্বৈরাচারের দলটিকে পুনর্বাসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভূমিকা কালের বিচারে কখনও ক্ষমা পাবার নয়।