খালেদা জিয়ার আসল অসুখ

শারীরিক অসুস্থতার গ্রাউন্ডে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির শুনানি হয়েছে। খালেদার আইনজীবীরা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন  আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি । বৃহস্পতিবার এ নিয়ে শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন তাঁর কথাতেই কোর্টে আটকে যান। জয়নাল আবেদিন কোর্টকে বলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গত ৭ অক্টোবর একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ৩০ অক্টোবর তিনি ওই প্রতিবেদনের তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছেন। এতে খালেদা জিয়ার উন্নত থেরাপির সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় কোর্ট বলেন, তাহলে আমরা একটা রিপোর্ট কল করি। পরে কোর্ট খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের রিপোর্ট  কোর্টের কাছে জমা দিতে বলেছেন। ৫ ডিসেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে কী আছে তা আমরা মোটামুটি জানি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর বোন ও বিএনপির ব্রিফিং এর পর পাল্টা ব্রিফিং করে  তা এরমাঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেশবাসীকে জানিয়েছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা ও এতিমখানা দুর্নীতি মামলার সাজা ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি যে জীবনযাপন করতেন কারাজীবনে নিজস্ব গৃহপরিচারিকা ফাতেমা সঙ্গে থাকলেও কারাজীবনকে স্বাভাবিক জীবন বলার কোন সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার প্রধান শারীরিক সমস্যা দুটি। আর্থাইটিজ তথা গেঁটেবাত এবং ডায়াবেটিকস। এ দুটি রোগ নিরাময় হয়না। নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। যার ডায়াবেটিকস থাকে তার অন্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রনে রাখা আরও কঠিন। আর্থাইটিজ এবং ডায়াবেটিকসের চিকিৎসা বাংলাদেশে যা বিলাতে-অস্ট্রেলিয়াতেও তাই। এর বাইরে এ রোগ দুটির উন্নত বিশেষ কো চিকিৎসা বিশ্বে আবিষ্কৃত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেছে খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সব সময় সহায়তা করেননা। অনেক সময় মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাঁর সাক্ষাত পাননা। এটিই এখন মূলত তাঁর চিকিৎসার মূল সমস্যা। খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। নিজের চিন্তাভাবনার প্রশ্নে আপোস করতে রাজি না। এটা ভালো। কিন্তু একজন রোগিনীর ক্ষেত্রে এটি তিনি ঠিক করছেননা। চিকিৎসা সেবার প্রশ্নে ডাক্তারদের ওপর ডাক্তারি-খবরদারি চলেনা। এতে করে তাঁর সমস্যাগুলো জটিলতর হচ্ছে।

বিএনপি নেতারা বক্তৃতায় একটা কথা প্রায় বলেন। তাহলো, খালেদা জিয়া হেঁটে হেঁটে আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজ হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেননা। কথাটি আংশিক সত্য। কারন খালেদা জিয়া তখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হাঁটতে পারতেননা। এরজন্যে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা চলাতে দলের কোন নেত্রীর সাহায্য নিতে হতো। সর্বশেষ তাকে সহায়তার এই কাজটি করতে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তাঁরও আগে শিরীন সুলতানা এই সহায়তার কাজ করতেন। খালেদা জিয়াকে হাঁটাচলায় সহায়তার এই দায়িত্বটিতে কতো উত্থানপতন ঘটেছে কতো বিএনপির নেত্রীর। অথচ এই খালেদাই এক সময় ভিন্ন এক খালেদা ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলের সামনে হেঁটে তিনি সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্তও এসেছেন।

একটি পুরাতন পঞ্চাশ সিসির হোন্ডা মোটরবাইকে তখন থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দেখভাল করে করে ফালু তখন থেকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং দেশের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হন। তখন জিয়ার বিধবা স্ত্রীর পরিচয়ের খালেদা জিয়া সুতি শাড়ি পরতেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে পরা শুরু করেন সিফন জর্জেট পরা শাড়ি। এরসঙ্গে আর্থাইটিসের সমস্যাটিও তাঁর জীবনের সঙ্গী হতে শুরু করে। খালেদা জিয়ার মিডিয়া টিমের সদস্য হিসাবে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবার সুযোগ হয়েছে। নির্বাচনী সফরগুলো তিন-চারদিনেরও হতো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। ওই সময়গুলোতেও জাহানারা বেগম, সারওয়ারি রহমান, সেলিমা রহমান, ফরিদা জামান, ফরিদা হাসান এমন কোন না কোন নেত্রী থাকতেন তাঁর সফরসঙ্গী। সেই নেত্রীদের অনেকে এরমাঝে মারা গেছেন। এসব দায়িত্ব পালনের জন্যে তাদের অনেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন।

২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া যখন আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন, আর্থাইটিসের সমস্যাটি তখন জটিল হতে শুরু করে। অনেকটা খুড়িয়েই হাঁটতেন তখন তিনি। সংসদ ভবনের ভিতর তাঁর এমন খুড়িয়ে হাঁটার একটি দৃশ্য লংশটে দেখানোর দায়ে সরকারি রোষানলে পড়ে তৎকালীন একুশে টেলিভিশন। দেশের প্রথম জনপ্রিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেলটি বন্ধ করে দেবার এটি অন্যতম কারন মনে করা হয়। আরেকপক্ষ মনে করেন খালেদা জিয়া তখন তাঁর ঘনিষ্ঠ ফালুর টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতায় একুশে টিভি বন্ধ করেছিলেন।

গেঁটে বাত তথা আর্থাইটিজের সমস্যা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর পঞ্চাশোর্ধ অর্ধেকের বেশি মানুষের। ব্যথা-বেদনার সমস্যা নিয়ে আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় ডাক্তারদের কাছে যাই তখন কমন কিছু প্রশ্ন করেন এখানকার ডাক্তাররা। কোন কারনে রোগীর মন খারাপ কিনা। কোন কারনে রোগী ঘুম ঠিকমতো হয়না অথবা কোন কারনে রোগী দুশ্চিন্তা করেন কিনা। এসব কিন্তু ব্যথা-বেদনার রোগ বাড়ার সঙ্গে জড়িত। এই সমস্যাগুলো খালেদার আছে। যিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এর আগে দেশের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও ছিলেন বিরোধীদলের নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন হিসাবেই ‘ফিরোজা’য় যার ছিল বিলাসবহুল জীবন, তাঁর কী জেলখানায় মন ভালো থাকে? ভারতীয় সিরিয়ালের পোকা ভক্ত ছিলেন খালেদা জিয়া। গভীর রাত পর্যন্ত এসব সিরিয়াল দেখতেন। প্রধানমন্ত্রী থাকতে যে সব সিরিয়াল তিনি সময়ের অভাবে দেখতে পারতেননা, সেগুলো পরে দেখার জন্যে তার জন্যে রেকর্ড করে রাখা হতো। সেই খালেদার কারাকক্ষে এখন সম্ভবত বিটিভির সংযোগ শুধু আছে। বিটিভি খুললেই যেহেতু শেখ হাসিনার চেহারা দেখায়, এরজন্যে তিনি সম্ভবত তিনি তা দেখেনওনা। কাজেই যার সময় কাটানো সমস্যা, মন ভালো থাকেনা, ঘুম ঠিকমতো হওয়ার কথা না, তাঁর শারীরিক সমস্যাতো শুধুই বাড়বে।

খালেদা জিয়ার এসব সমস্যায় অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তাররা প্রথমে পেইন কিলার দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর দেন ইনজেকশন। যার ইনজেকশনে সমস্যা সারেনা তাকে চূড়ান্ত চিকিৎসা হিসাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার দু’বার বিদেশে হয়েছে। এখন মূলত ফিজিও থেরাপি ছাড়া তাঁর গেঁটে বাতের বিকল্প চিকিৎসা নেই। তাঁর আবার ডায়াবেটিকসের সমস্যাও বড়। এরজন্য যে পরিমান ব্যয়াম-হাঁটাচলা করতে হয় তা নিশ্চয় খালেদা জিয়া করেননা বা পারেননা। তবে এটাও ঠিক,  আজ খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেলে কাল থেকে তাঁর অনেক সমস্যারই স্বাভাবিক উন্নতি হবে। এর কারন উন্নত কোন চিকিৎসা নয়। মুক্ত পরিবেশ। সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দিতে চায়। প্যারোল মানে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি। হয়তো চিকিৎসার জন্যে বিদেশে চলে যাবেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াবেননা এমন শর্ত থাকতে পারে প্যারোলে মুক্তিতে। তারেক-কোকো যে শর্তে প্যারোলে বিদেশ গিয়েছিলেন।

 খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাননা। বাংলাদেশের বাস্তবতায় তাঁর জামিন পাবার সুযোগ কম। এটি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলেও করতেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিচার পর্যন্ত তিনি আটকে দিয়েছিলেন! অথচ তিনি কোনভাবেই জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেননা। গৃহবধুর বাইরে কোন জীবনই তাঁর ছিলোনা তখন। বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে নিজের সংসারও রক্ষা করেছিলেন। মেয়ের মতো পিতৃস্নেহ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। সেই পিতার হত্যার বিচার ঠেকিয়ে রাখার প্রকৃতির প্রতিশোধ কী আজ ভোগ করছেন বিএনপির নেত্রী?

যে দুর্নীতির অভিযোগের দন্ড নিয়ে খালেদা জিয়া এখন সাজা খাটছেন তা নিয়ে আমি আমার আওয়ামী বন্ধুদের মাঝে মাঝে সতর্ক করি। মাঝে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তখন তারা এসব মামলার অভিযোগের সন্ধান পায়নি। এ সংগ্রহগুলো সামরিক গোয়েন্দাদের। এই সামরিক গোয়েন্দারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নিজেদের জন্যে। ভবিষ্যতে সুবিধামতো কাজে লাগায়। যারা তখন খালেদা জিয়া এবং বিএনপির  প্রিয় এবং ঘনিষ্ঠ ছিল। এবং মামলার সাজা সম্পর্কে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির আইনজীবীরা ভালো জানতেন বলে তারা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এই মামলাগুলো বিলম্বিত করেছেন। কারন এই মামলাগুলোর প্রমানপত্র ছিল অকাট্য-ব্যাংক ডকুমেন্ট। এমন আড়াই-তিন কোটি টাকার দুর্নীতি প্রমান করা সহজ। হাজার হাজার টাকার দুর্নীতি প্রমান করা কঠিন। সেগুলোর ব্যাংক ডকুমেন্ট থাকেনা। এরশাদের যে জনতা টাওয়ার মামলার সাজা হয়েছিল সেটিও ছিল আড়াই কোটি টাকার মামলা। ওই সাজার জন্যে এরশাদ পাঁচবছর নির্বাচন করতে পারেননি। কিন্তু এরশাদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির হদিস কেউ বের করতে পারেনি। যা নিয়ে এখন জাতীয় পার্টিতে কাইজ্যাকাটি চলছে।

খালেদা জিয়ার বয়স, তিনি নারী ও অসুস্থ এসব বিবেচনায় তাঁর  মামলায় জামিন হয়। খালেদা জিয়ার হচ্ছেনা কেনো? সোজা কথা খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা রামকৃষ্ণ মিশন জাতীয় কোন সেবা সংস্থার সন্নাসিনী নন। দু’জনে দু’জনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিএনপি চরম সাংগঠনিক দৈন্যের পরিচয় দিয়েছে। অথবা বিএনপি দলটাই এ রকম। এরা আরামে থাকার জন্যে একজন ক্ষমতাসীন জেনারেলের পিছনে রাজনীতি করতে এসেছিল। বিরোধীদলের সংগ্রাম, লাঠিপেটা হজম করে রাস্তা আঁকড়ে থাকা আজও রপ্ত করতে পারেনি। মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় শুইয়ে পিটাতো যখন বিএনপি তখন মতিয়া চৌধুরীর অটল ভূমিকা কী তারা একবারও কল্পনায় ভাবতে পারে? সারাক্ষন খালি অভিযোগ আর অভিযোগ, সরকার এই দেয়না-সেই দেয়না! প্রতিদিন নতুন নতুন শব্দ বিশেষনে মির্জা ফখরুল অথবা রিজভির সংবাদ ব্রিফিং! এসব কী দেশের মানুষকে নাড়া দেয়? না আরও বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়?

খালেদা জিয়া যেদিন জেলে গেলেন সেদিন বিএনপি যদি দেশজুড়ে একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারতো তখন সরকার নিশ্চয় তা নিয়ে ভাবতো। যে সরকার ছাত্রদের কোটা সংস্কার বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, এমনকি বুয়েটের আবরার হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়াকেও গোনায় ধরে সমঝোতা করে, বিএনপি কী তেমন কিছু করতে পেরেছে? আর আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপিতো সেই দল যারা তাদের নেত্রীকে গ্রেনেড হামলায় মারতে না পেরে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে, আওয়ামী লীগ বিএনপির নেত্রীকে জেলখানায় রেখেছে, গ্রেনেড হামলা চালিয়েতো মারতে যায়নি। এক সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছিল বিএনপির মূল শক্তি। এখন ছাত্রদল বিবাহিত-বয়স্কদের নেতৃত্বের দাবিতে অনশন করে! লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান, যিনি সেখানে আশ্রয়পেতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পর্যন্ত সারেন্ডার করেছেন!

যে দলের বিদেশবাসী মূল নেতা  তিনি নিজে এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন, তার স্কাইপের দিকে তাকিয়ে থাকে বিএনপি নামের এন্টি আওয়ামী লীগ ধারার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল! যে স্কাইপেতে দেশের মানুষের পিঁয়াজের কষ্টে কান্নাও নেই। তার বৈভবের জীবনে কোন অর্থকষ্ট নেই। আর দশজন প্রবাসীর মতো তাকে খেটে খেতেও হয়না। এমন বৈভব নাকি কোনদিন ফুরোবেওনা! এরজন্যে দেশে তার মা খালেদা জিয়ার এভাবে জেলের ভিতর পচে মরাটাও দেশের মানুষকে স্পর্শ করেনা। এটিই এখন খালেদা জিয়ার আসল অসুখ।