সম্প্রতি সাম্রাজ্য হারানো যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত সম্রাটকে কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে সম্রাটের মুরিদরা এখন তাকে হাসপাতালেই রাখার চেষ্টা করবেন। সম্রাটের হৃদরোগের সমস্যা আছে। কারাগারে যাবার পর সম্রাট কিছুই খাননি। এর কারনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্রাট যা খান তা বাংলাদেশের কারা কর্তৃপক্ষ তাকে দিতে পারবেনা। কারন কারা কর্তৃপক্ষ এখন সম্রাটের পোর্টফলিও জানে। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে তার সাম্রাজ্যের পতন ঘটানো হয়েছে। সম্রাট বাংলাদেশের কোন পানিও খাননা। ফ্রান্স এবং দুবাইর বিশেষ দুটি কোম্পানির পানি তার পছন্দ। এ দুটি কোম্পানির পানিই তিনি ঢাকাতেও খান। ভূঁইয়া ম্যানসনে তার খাবার তৈরির জন্যে স্পেশাল কিছু সেফ ছিল। সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা ফাতেমার সেবা গ্রহনের সুযোগ দিয়েছে। সম্রাটকে সে সুযোগ দেয়া যাবে এটা এখনই মুরিদরা মনে করছেননা। আস্তেধীরে হয়তো গোপনে দেবেন। শুধু আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠন সমূহে না, পুলিশে-প্রশাসনে সম্রাটের উপকারভোগী বিস্তর মুরিদ আছেন। মিডিয়ায় আছেন। সম্রাটের আশা মুরিদরা তার সঙ্গে নিমকহারামি করবেন না।
সম্রাটের গ্রেফতার গল্পটি অনেকটা ক্রসফায়ারের গল্পের মতো। যা বলা হয়েছে বাস্তবের সঙ্গে এর কোন মিল নেই। গ্রেফতার গল্পটি বিশ্বাস করতে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও অপমান করা হয়ে যায়। ক্রসফায়ারের গল্প নিয়ে বাংলাদেশে কেউ প্রশ্ন তোলেনা। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। কারন এই সম্রাট বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো পালানোর মতো কোন বান্দা না। এখন ক্ষমতার রাজনীতিতে তার বড় পীরের নাম শেখ সেলিম। ওমর ফারুক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম সবাই তার মেজ-সেজ-ছোট পীর । রাজনৈতিক পীরবৃন্দ এবং গোয়েন্দা সংস্থার যারা যারা তার মাধ্যমে উপকৃত তাদের একটি কনসোর্টিয়াম হয়েছে। কনসোর্টিয়াম যা যা বলেছে সম্রাট তাই করেছেন। একটুও উনিশ-বিশ করেননি। কনসোর্টিয়াম তাকে বলেছে যে সম্রাট এখন দেশের বাইরে চলে গেলে সহজে দেশে ফিরতে পারবেননা। এখানে কিছুদিন জেলে থেকে পরিস্থিতি শান্ত হলে তার বেরিয়ে আসার সমূহ সুযোগ আছে। আপাতত ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার জন্য তাকে দেয়া হয়েছে ৬ মাসের জেল। সম্রাট মদ-সিগারেট কিছু খান না। চাঁদাবাজির কোন দালিলিক প্রমান নেই। রশিদ দিয়ে কেউ চাঁদা নেয় না দেয় না।
এই সম্রাটের মতো চলন-চালন সম্রাটের মতো হলেও, জুয়া খেলা আর ম্যাসেজ ছাড়া তার তেমন কোন চাহিদা ছিলোনা। টাকা যেমন তিনি দেদারসে কামিয়েছেন বিলিও করেছেন দেদারসে। দেশে জুয়া খেলার মতো কোন ছিঁচকে জুয়াড়িও এই সম্রাট না। জুয়া খেলতেন ভিভিআইপি স্টাইলে সিঙ্গাপুরে। চাঙ্গি এয়ারপোর্টে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে দামি গাড়ি নিয়ে তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতো জুয়ার এজেন্টরা। দেশে যুবলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেখ হাসিনার অকুতোভয় ভ্যানগার্ড এসব নামে তাকে তার অনুগতরা ডাকলেও এই সম্রাট সেই জুয়ার নেশায় আসক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু যা দেশে নিষিদ্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার সততা-নিষ্ঠার কোনটাই তার জীবনসূচিতে ছিলোনা। ভোগবাদী একটা স্টাইল ছিল তার। নিজে ভোগ করতেন। যাকে দরকার বা পছন্দ করতেন তাকেও ভোগ করাতেন। সিঙ্গাপুরের মেরিডিয়ান বে’র মতো হোটেলে তার পাঠানো কত মেহমান গিয়ে ফ্রি ভোগের খুশিতে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার দিয়েছেন! যে হোটেলের প্রতি রাত যাপনের ভাড়া তিনশ ডলারের বেশি।
বাংলাদেশের যুবলীগ নেতার সিঙ্গাপুরে নাম ছিল গ্যাম্বলিং কিং। তার জুয়া আর সেখানকার বান্ধবীকে নিয়ে অনেক গল্প আছে সিঙ্গাপুরে। সিনেমার মতো সব গল্প। দেশের অনেক সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এমপি-নেতা তার অতিথি হিসাবে সিঙ্গাপুর ভ্রমন করেছেন। কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেই বলে রাখতেন ‘বিদেশ গেলে জানাইয়েন’। তাদের জন্যে থাকতো টিকেট-ডলারের খাম। অনেককে তা যার যার অফিসে বা বাসায় পৌঁছে দেয়া হতো। তার যে সব ছবি এখন অনলাইনে ভাইরাল এ ছবিগুলোও দেশের বিখ্যাত সব ফটো সাংবাদিকের তোলা। কোন দিন কোন সাংবাদিকের কোন দাবি তিনি অপূর্ণ রেখেছেন এমন বদনাম তাকে কেউ দিতে পারবেননা।
রবিনহুডের কাহিনীর মতো তার চাঁদাবাজির আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল অনেক মানুষ। প্রতিদিন কয়েকশ লোকের খাবার রান্না হতো ভূঁইয়া ম্যানসনে। গরুর মাংস, ডাল-ভাত। যেই তার সঙ্গে দেখা করতে যেতো তিনি বলতেন, ‘ভাই ভাত খাইয়া যাইয়েন।‘ আবার বলতেন, এ খাবার তার সহ্য হয়না। বলা হতো সম্রাটের দরবারে কেউ ফিরেনা খালি হাতে। এরজন্য তাকে প্রচুর রোজগার করতে হতো। তারতো কোন টাকশাল বা টাকার জ্বিন বা ত্রান তহবিল নেই। অতএব রোজগারের অবলম্বন ছিল চাঁদাবাজি আর ক্যাসিনোর আয়। বলা হয় সম্রাটের এই ক্যাসিনো বুদ্ধিটি তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরমানের। সম্রাটের মতো আরমানও মদ-সিগারেট খেতেননা। কিন্তু গ্রেফতারের সময় আরমান মাতাল ছিলেন এমন একটি মামলা দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরজন্যে তার ব্রেথটেস্ট বা ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি। ডাক্তারি পরীক্ষায় কাউকে অতিরিক্ত মদ্যপানজনিত মাতাল অবস্থায় পাওয়া গেলে আইনত তাকে ওয়াশ করিয়ে পাকস্থলী খালি করতে হয়। এর কিছুই করা হয়নি। অতএব এই মামলায় আইনজীবীরা সুবিধা পাবে।
খালেদ ভূঁইয়া আর লোকমানের ক্যাসিনো ছাড়া ঢাকার সব ক্যাসিনো থেকে তার বখরা চলে আসতো নিয়মিত। সাবেক ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার সর্বশেষ বহিষ্কৃত হবার আগ পর্যন্ত যুবলীগ নেতা খালেদ ছিল পেশাদার খুনি। এরজন্য তাকে ঘাটাতে ভয় পেতেন সম্রাট। লোকমান বিসিবির সভাপতি পাপনের বন্ধু হওয়ায় তাকেও ঘাটাতেননা। সব সময় ভয় কাজ করতো লোকমান-পাপনকে ঘাটাতে গেলে খবর প্রধানমন্ত্রীর কানে চলে যেতে পারে। কিন্তু ‘যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ভয় সেখানেই রাত্রি হয়’র মতো বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছ থেকে চাঁদা চাইতে গিয়েও নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন সম্রাট। কিন্তু এই চাঁদাবাজি নিয়েও দেশের মিডিয়া সম্রাটের সঙ্গে চরম অপমানসূচক একটি কাজ করেছে। তার অনেক খরচ। তাই আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে তিনি মাত্র দশকোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। কিন্তু মিডিয়া এটি কমিয়ে পাঁচ কোটি টাকা লিখেছে। পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা চাইবার-নেবার মতো ছেঁছড়া চাঁদাবাজ সম্রাট না।
কাকরাইলের তার অফিসের কাছেই আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের নতুন ভবন কমপ্লেক্সের দেড়শো কোটি টাকার কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যা। সে কারনে চাঁদা দাবির বিষয়টি তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে যায়। সম্রাট অবশ্য তার নিকটজনদের কাছে দাবি করেছেন চাঁদার বিষয়টি বছরখানেক পুরনো। তিনি না, তার লোকজন চাঁদা চেয়েছিল। ওখানে ছোট আপা তথা শেখ রেহানা আছেন জেনে তিনি তার লোকজনকে তখনই ধমক দিয়ে নিরস্ত করেছেন। বলেছেন, ছি! ছোট আপা’র ওখানে চাঁদা চাইতে নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে এখনো তা না ভুলেননি জেনে তিনি আক্ষেপ করেছেন। আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে চাঁদার বিষয়টি নিয়ে যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মির্জা আজম প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন তথ্যটি ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন এর প্রমান তাঁর কাছে আছে। তখন চুপ মেরে যান মির্জা আজম। এ খবর ঢাকার একাধিক দৈনিকে ছাপা হয়েছে।
যুবলীগের আওরঙ্গজেব-লিয়াকত-হান্নানের হাত ধরে সম্রাটের আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতে প্রবেশ। তখন তার পীর ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু। ১/১১’র পর আমু কর্তৃ্ত্ব হারালে শেখ সেলিমের মুরিদ হন তিনি। এখনও তিনি এই বড় পীরের কর্তৃ্ত্বেই আছেন। তার সাম্রাজ্য পতনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আসার পর বড়পীর শেখ সেলিম ছোটপীর ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে কাকরাইলের অফিসেই থাকতে বলেন। সেখানে চারদিন থাকার পর তিনি বনানীর একটি বাড়িতে চলে যান। তার ফোন সচল ছিল। গোয়েন্দারাও সব জানতো। এরজন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুরু থেকে বলে আসছিলেন সম্রাট তাদের নজরদারিতে আছেন। সবাই মিলে অপেক্ষা করছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে নমনীয় করা যায় কিনা। কিন্তু সব আশা ধুলিস্মাৎ হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো ছাড়া কোন বিকল্প ছিলোনা। গল্পের জন্যে বেছে নেয়া হয় চৌদ্দগ্রামের সীমান্ত লাগোয়া সেই বাড়ি। যেখানে কেউ থাকেননা। সে বাড়ির প্রতিবেশী বা গ্রামের লোকজন কেউ সম্রাটকে দেখেননি। গ্রামের লোকজন রাতের বেলা অভিযানের লোকজনকে দেখেছেন। কিন্তু কাউকে নিয়ে যেতে দেখেননি। সকালবেলা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছেন সম্রাটকে গ্রেফতারের কথা। রাতে গ্রেফতারের লোকজন গ্রাম ছাড়ার পর স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুকে একটি পোষ্টও দেন। কিন্তু গ্রামে থেকেও তিনি লিখতে পারেননি কার বাড়িতে ছিলেন সম্রাট। এমন কি গ্রেফতারকারীরা সেখান থেকে গ্রেফতারের কোন ছবিও মিডিয়াকে দেয়নি। যেমন বন্দুক যুদ্ধের ছবি কেউ দেখেনি কোনদিন। দেখে লাশের ছবি। সম্রাটের মুরিদরা বলেছেন তার দেশ পালানোর কোন পরিকল্পনাই ছিলোনা। রাজনৈতিক পীররাও তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়নি।
মুরিদরা বলছেন পালাতে চাইলে সম্রাটকে সীমান্তের ওপারে দিয়ে আসার লোকের অভাব ছিলোনা। গ্রেফতার দেখানোর একদিন আগে ইত্তেফাকে ছাপা হয় সম্রাট বনানীর একটি বাড়িতে আছেন। কালেরকন্ঠে ছাপা হয় তাকে গ্রেফতারের কথা। সবই ঠিক। কারন গ্রেফতার দেখানো আগ পর্যন্ত যারা তাকে গ্রেফতার করবে তিনি তাদের হেফাজত অথবা নজরদারিতেই ছিলেন। প্রতি রাতে ইত্তেফাকের ছাপা রাতের প্রথম প্রহরে ছাপা হয়। কিন্তু অফিসিয়েল গ্রেফতার ঘোষনার আগে ইত্তেফাক গ্রেফতারের খবরটি ছাপিয়ে দেয়। এবং অনলাইন সংস্করনেও দিয়ে দেয়। ব্রেকিং নিউজ হিসাবে স্ক্রল দিতে শুরু করে একাত্তর টিভি। আর কেউ সে ঝুঁকি নেয়নি। আগ বাড়িয়ে ঝুঁকি নেবার বিপদ ঢাকার মিডিয়া জানে। কাকরাইলে সম্রাটের হাতে হাতকড়ার ছবি দেখে মুরিদরা কেঁদেছেন। এরা নিষ্পাপ। সম্রাট তাদেরকে চাঁদাবাজি না ক্যাসিনো জুয়ার টাকা দিতেন এটা তাদের দেখা-জানার বিষয় ছিলোনা। কিন্তু অকুস্থলে মিডিয়াকে বলা হয়েছিল এসব কান্নার ছবি যাতে তারা টেলিভিশনে না দেখান-পত্রিকায় না ছাপেন। সবাই ঈমানদার। কেউ নিষেধ অমান্য করেননি। কারন তাদেরকেতো আবার এমন কোন সম্রাট অথবা মোষ্ট ওয়ান্টেড পার্সনের ছবি তুলতে নিউজের জন্যে তাদের কাছে যেতে হবে। কারন সবাই জানেন সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তে সম্রাটকে গ্রেফতার। কোন সফট কর্নার দেখানো চলবেনা।
সম্রাটের দরবার ভূঁইয়া ম্যানসন থেকে উদ্ধারকৃত সামগ্রীর তালিকা দেখে ওয়াকিফহালরা হেসেছেন। ভূঁইয়া ম্যানসনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যুহ বেরিয়ে পৌঁছতে হতো সম্রাটের দরবারে। নানাকিছুর বিশাল সংগ্রহ ছিল তার। নতুন নতুন সব পোশাক-স্যুট-ব্লেজার ছিল তার বিশেষ পছন্দ। এমন কয়েকশ স্যুট-ব্লেজারের সংগ্রহ মিডিয়ার ঘনিষ্টদের এসব ঘুরিয়ে দেখাতে তিনি পছন্দ করতেন। কেউ চাইলে এক দুটি দিয়েও দিতেন। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরের আরমানির স্যুট সেলাই তিনি খুব পছন্দ করতেন। এর একেকটির দাম পড়ত প্রায় হাজার ডলার। সম্রাটভক্ত কনসোর্টিয়াম ভূঁইয়া ম্যানসন থেকে তার সব পোশাক-তৈজসপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স, লেপটপ-কম্পিউটার, কাগজপত্র সব সরিয়ে ফেলার পর্যাপ্ত সময় দিয়েছে। এগুলো নিয়ে যেতে অনেক সময়-যানবাহন লেগেছে। কনসোর্টিয়ামের ধারনা সম্রাটকে খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া হবেনা। তার মেজ পীর ওমর ফারুক চৌধুরী এবার যুবলীগের নেতৃত্ব হারাবেন। তাকে নানাভাবে নিস্তেজ করে দেয়া হবে। তবে স্ত্রী-ছেলের জন্যে তাকে গ্রেফতারের সম্ভাবনা কম। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সম্ভাব্য পরবর্তী টার্গেট বিদেশে অবস্থানরত ওয়ার্ড কমিশনার ক্যাসিনো সাঈদ। এরজন্যে তাকে সম্রাটের মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।