আমরা গনিতকে অসম্ভব ভয় পাই । আমাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম গনিত। দেখা যায় মোটামোটি সবাই পরীক্ষায় শুধুমাএ পাশ করার জন্য অঙ্ক করি। অনেক ক্ষেএেতো মুখস্থ করে পরিক্ষায় কোনো রকম পাশ, সেজন্য গনিতের জন্য ভালোবাসাটা হয়ে ওঠে না । কিন্তু গনিত লাগে না এমন কোনো ক্ষেএ আছে কি?
কিন্তু একটা সত্য কথা হলো যে গনিতে ভালো, সে অবশ্যই অন্য বিষয়ে অনেক ভাল। আর গনিত হলো যুক্তির খেলা। একটা অঙ্ক অনেক ভাবে করা যায় কিন্তু উওর একটাই আসে।
আমি যেহেতু গনিতের ছাএী। আজকে আমি একটু আলোচনা করবো কিভাবে গনিতে ভালো করা যায় খুব সহজে। আর গনিতের প্রতি যে ভয়টা সেটা কিভাবে কাটানো যায়। আজকে আমি শুধুমাএ মাধ্যমিক গনিত নিয়ে আলোচনা করবো।
আমরা জানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গনিতের তেমন কিছু থাকেনা, যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, দশমিক, সরল ইত্যাদি. গনিতের যে ধারা সেটা শুরু হয় মাধ্যমিক থেকেই।
১. সূএ:
আমি প্রথমেই বলবো গনিত শিখতে হলে অবশ্যই আগে সূএ শিখতে হবে। আর সেটা হলো অধ্যায় ভিওিক। সূএ না পারলে অঙ্ক শিখা হবে না। এখন কথা হলো আমরা কিভাবে সূএ মনে রাখবো? আমদের অবশ্যই সূএের জন্য একটা নোট বুক নিতে হবে। যেখানে সকল সূএ একসাথে থাকবে। যাতে একনজরে সবগুলো আয়ওে রাখার সুযোগ হয়। চাইলে আমরা একটা ক্যালেন্ডার এর পিছনের খালি জায়গায় সবগুলো সূএ মোটা অক্ষরে লিখে টেবিলের সামনে ঝুলিয়ে রাখতে পারি
২. সুএের ব্যাবহার ::
অনেকের ক্ষেএে যেটা দেখা যায় সূএ জানে কিন্তু সেটায় কোথায় অথবা কিভাবে ব্যাবহার করবে জানে না। এক্ষেএে আমি বলবো সূএ হলো অধ্যায় ভিওিক ব্যাবহার, আপনার যেটা করতে হবে সেটা হলো নিয়ম খুজে বের করতে হবে এই সূএ কোন অঙ্কে ব্যাবহার হচ্ছে, এই একই রকম দেখতে বাকী অঙ্ক গুলো একই সূএ ব্যাবহার হবে।
৩. যোক্তিক ভূল:
অনেকের ক্ষেএে দেখা যায় তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে 3+4=8, অথবা 4-3পরের লাইনে গিয়ে 4+3 হয়ে যায়। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলগুলো হয়ে যায়। এগুলো করা যাবে না, কারন গনিত হলো ঠান্ডা মাথার খেল।
৪. অনুশীলন:
গনিতের ভেতর যে আনন্দ আছে সেটা বুজতে হলে অনুশীলন করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। যে যত অনুশীলন করবে তার গনিত শিখা তত সূক্ষ্ম হবে।
৬. অধ্যায় ভিওিক নেট খাতা বানাতে হবে তাতে সহজেই ভালো একটা পুজিঁ থাকে।
অবশ্যই এগুলো মেনে চলবেন। আশা করি সবাই কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।