ত্রান সংস্থা গুলোর কাজ আবার বেড়ে গেল । আগে ছিল করোনা এখন আম্পান , তারপর গরুর নানা অসুখ , কলেরা , সব মিলায় দেশে এখন মহামারীর উৎসব চলছে যেন ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো একপ্রকারের প্রাকৃতিক ঘটনা, যাতে মানুষের আর্থ-সামাজিক ক্ষতি হয়ে থাকে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলবায়ু ও আবহাওয়ার অস্থিরতাসহ অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যা এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী।
বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলেই আসছেন -‘এসবের মূলে মানুষের কর্মকাণ্ডই প্রধানত দায়ী। যথেচ্ছ বৃক্ষ নিধন, অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, যানবাহনের কালোধোঁয়া, জোরালো শব্দের হর্ণ, আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা ও ইটভাটার অবস্থান, ইত্যাদি পরিবেশকে দূষিত করছে।
পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ‘এসব কথা আমরা সবসময় পরিবেশবিদ দের লেখায় পড়ে থাকি , তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না ।”বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিমালয়জুড়ে ব্যাপক হারে বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে উঁচু ভূমিগুলোতে অনেক প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটেছে।
তিব্বতের মালভূমি এখন বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি উষ্ণ। এর পরিবেশগত প্রভাব এশিয়া ছাড়িয়ে অন্যান্য স্থানেও পড়ছে। বাংলাদেশও পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যেই আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে।
“ তাতে কি ভাই আমরা বীরের জাতি , অসম্ভব সাহস আমাদের করোনা জলচ্ছাস ভূমিকম্প সাইক্লোন আমাদের কিছুই করতে পারে না । অদ্ভুত প্রাণ শক্তি এই বাঙ্গালী জাতীর ।
করোনা নিয়ে সারা পৃথিবীতে কান্না কাটি আহা রে ! উহ রে ! আর আমরা দিব্বি যাচ্ছি ঈদ বাজার করতে , রেশমী চুড়ি আংটি শাড়ি ব্যাগ মহা আনন্দে কিনে ফিরছি , করোনা তো আর আনন্দের বাজারে ঢুকতে পারে না ।
একবারও ভাবছে না উন্নত দেশ গুলো যেখানে নাকে খত দিয়ে শুধু প্রাণ ভিক্ষায় প্রার্থনায় রত , আর আমরা এই বেশ ভালো আছি টাইপের বিন্দাস মাইন্ডের মানুষ রা নাদান হয়ে , সবিতে মজা নেই , স্টাটাস দেই … এবার ঈদে নিজের পান্জাবী ,বউ সন্তান কারোও জন্য কিছু না নিয়েই ঈদ করবো । আহা শুধু নিজেকে ঘিরেই নিজের চিন্তা , পরের তরে আমরা না , চাচা আপন প্রাণ বাঁচা । কত্তটা অমানবিক আমরা ।
কতটা অসচেতন । ভাবতেই মাথা ঘুরে যায় ।
এমনিতেই করোনার প্রকোপ , তার উপরে আম্পান এসে .. মরার উপরে খাড়ার ঘা ! কি হবে অসহায় মানুষের !
সারাটা দিন খুব বাজে ভাবে কাটলো । মোটেও শান্তি পেলাম না । চারিদিকের চিন্তা কেন আমার মাথায় ভর করে কে জানে ।
পুরোটা দিন কলকাতা এবং বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির ছবি দেখছিলাম । জানি না কোথায় ঘুম আর কোথায় ক্ষুধা গায়াবে ।
শুধু মাথাটা ধরে আছে । বুকের ভেতরে একটা ব্যথাভার ।
আমার একটা আদরের ছোট ভাইয়ের বাড়িটা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে … কিছুদিন হলো ওর চাকরী নেই , আজ দেখলাম বাড়িটিও নাই । যাবে কোথায় ? খাবে কি ? কে দেবে জবাব … সবাই তো বিপদ গ্রস্থ । আজ আমার কথা নাইবা বলি
যেমন ছিলাম তেমনি আছি … অনেকের চেয়ে ভালো আছি ।
সবাই ভালো থাকুক , আর যারা ঘরহারা এই করোনা কালে তাদের ঘর আর খাবারের জন্য যে ত্রাণ বরাদ্দ হবে সে গুলো যেন বাঘের পেটে না যায় সেই কামনাই করি ।
সবাই নিরাপদে থাকুন ।
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে “বিষাদ-সিন্ধু” আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।