আম্পায়ার কি ঠিক করলেন এটা?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে অনেকটা বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে।
২৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।শুরুতেই গেইলের উপরে যেন সব বিপদ নেমে যায়।বিপদ নেমেছে ঠিক আছে কিন্তু লংকান আম্পায়ার “রুচিরা প্যালিয়াগুরুগে”-আরো বিপদ বাড়িয়ে দেন ” ক্রিস গেইলের”-উপর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ঘটনা। মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত সব ডেলিভারি ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল ক্রিস গেইলের, ঠিকমতো দেখতেই পাচ্ছিলেন না। এর মধ্যে ওভারের পঞ্চম বলটি গেইলের ব্যাটের একদম খুব কাছে দিয়ে চলে যায়। অস্ট্রেলিয়ানদের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
গেইলও দেরি করেননি, রিভিউ নিয়ে নেন সঙ্গে সঙ্গে। রিভিউতে দেখা যায় ব্যাটে বল লাগেনি। স্টার্কের পরের ডেলিভারিটি ওয়াইড হয়। শেষ বলে আবারও আবেদন। এবার গেইলের প্যাডে বল লেগেছিল। লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার মানে আবারও আউট দিলেন।
এবারও ক্যারিবীয় ওপেনার রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্ট্যাম্প মিস করে বেশ দূর দিয়ে চলে যেতো বল।
টানা দুই রিভিউ জিতে যান গেইল। তবে তার শেষটা হয়েছে ওই রিভিউয়েই, স্টার্কেরই বলে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অজি পেসারের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলে আবারও দাঁড়িয়ে যান গেইল। তবে রিভিউতে দেখা যায়, এবার লেগ স্ট্যাম্প পেয়ে যায় বল অর্থাৎ এবার গেইল আউট হয়ে যান।
যদি ৩য় বারের মতো এবার তিনি আউট হয়েছেন,আমার মতে;-এটা কোনো চাল চালা হয়েছে।”লেগ বিফোর উইকেট”-এ আমার সন্দেহ ছিল।যাক,এটা বাদ দিলাম তবে আউট হওয়ার আগে যে এত বড় একটা “নো” বল হয়েছে।তা কি আম্পায়ার দেখে নি।বোলার পপিং ক্রিজের অনেক দূরে ছিল তবুও বুঝি আম্পায়ার চোখে দেখে নি।তখনই মানতাম যদি তার “পা”-পপিং ক্রিজের আরো কাছে থাকতো।
যদি আউট হওয়ার আগের বলটা ” নো” বল দিতেন তাহলে পরের বলটা “ক্রিস গেইল”-ফ্রি হিট হিসেবে পেতেন অর্থাৎ আর আউট হতেন না কিন্তু পরবর্তী বলে ক্রিস গেইল আউট হয়ে যান।
মূল আম্পায়ারের কথা বাদ দিলাম।
এবার আসি ৩য় আম্পায়ারের কাছে।তিনি তো একটি বার রিভিউ করে দেখতে পারতেন এটা শুদ্ধ বল কি না?
কিন্তু তিনি তাও করেন নি।
এসকল আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করলে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট হবে।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী