দুর্নীতি করে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। নিজস্ব বাহিনীর মতোই এফবিআই ও সিবিআই স্টাইলে দুদকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকে ২০ সদস্যের আর্মড ইউনিট যোগদান উপলক্ষে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এ কথা বলেন।
মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘আজ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী চলমান কার্যক্রমে নতুন মাত্রার সংযোজন হলো। কমিশনের মামলার আসামি গ্রেপ্তার, তল্লাশি, আলামত জব্দকরণ, আসামি আদালতে সোপর্দ এবং সর্বোপরি দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত টিমের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এ ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে এবং দুর্নীতিবাজদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। নিজস্ব বাহিনীর মতোই এফবিআই এবং সিবিআই স্টাইলে দুদকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘কমিশনের আর্মড ইউনিটের সদস্যরা মামলার অনুসন্ধান বা তদন্ত কাজে অংশগ্রহণ করবেন না। তারা শুধু দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ত থাকবেন। দুদক আইন অনুসারে কমিশনের কার্যক্রমে সব বাহিনী এবং কর্তৃপক্ষের দুদককে সহযোগিতা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
এ ছাড়া আজ অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা বিষয়টি কমিশনের বিশেষ টিমের প্রধানকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের তিনজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে সশস্ত্র ইউনিটের সদস্যরা মিরপুর বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালায়।
২০১৬ সালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেই পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করেন। এই মতবিনিময়ের আলোকে ২০১৭ সালেই কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা, ২০১৭ এর অনুমোদন দেয়। এ বছরেই কমিশনের আর্মড ইউনিট গঠনের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। কর্মপরিকল্পনা অনুসারে এ বছরেই আর্মড ইউনিট গঠনের অঙ্গীকার করেছিল কমিশন।