মস্তিষ্ক ক্যান্সার বা টিউমার এ খুব বেশি মানুষ আক্রান্ত হন না,, আবার এর জীবনঘাতী লক্ষন শনাক্ত করা সহজ নয়। ব্রেইন টিউমারের লক্ষনগুলো খুবই বিভ্রান্তিকর।আসুন জেনে নেই কী কী লক্ষন দেখা দিলে বুজতে পারবো ব্রেইন টিউমার হয়েছে।
১.দৈনন্দিন জীবনে কিছু সমস্যা যেমন মাথা ব্যাথা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ গুলো ব্রেইন টিউমারের লক্ষন হতে পারে।
২.ক্রমাগত মাথা ব্যথা- ব্রেইন টিউমারের মাথা ব্যথার সাথে অনেক পার্থক্য আছে যেমন ব্রেইন টিউমারের মাথা ব্যথা সহজে যায় না, দিনের পর দিন অব্যাহত থাকে।
৩.দৃষ্টিশক্তি কমে যায় যার। দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এটি একটি সুক্ষ পরিবর্তন, ইহা অনেকেই খেয়াল করে না। অনেক সময় ঘরের ফার্ণিচারের সাথে ঘন ঘন ধাক্কা খাওয়া বা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়।
৪.কথা বলতে সমস্যা যেমন তোতলানো, কোনো জিনিস বা মানুষের নাম সহজে মনে করতে না পারা।
৫. ঝুকি নেওয়ার প্রবণতা ও খিটখিটে মেজাজ, ডিপ্রেশনের প্রবণতা দেখা যায়, এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
৬. শ্রবণশক্তি হারানো- একদিকে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, একেবারে কিছু শুনতে না পারা এবং অবিরত কানে ঘন্টার মতো আওয়াজ শোনা যাওয়া।
৭.ভারসাম্যহীন – হাটার সময় ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা, বিশেষ করে হাটতে সমস্যা বা একদিকে ঝুকে হাটার প্রবণতা থাকে।মস্তিষ্কের সেরেবেলাম অংশ হলো টিউমারের লক্ষন।
৮.ক্লান্তি ও আলস্য – মস্তিষ্কের মোটর অংশ পুরো শরীর নিয়ন্ত্রণ করে যদি কোনো কারণে এটির ব্যাঘাত ঘটে পায়ের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়, পা নড়াচড়া করতে পারেনা।
তাই বলা যায় যে উপরের লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই কেউ যাতে দেরি না করে তা না হলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে,, এবং মৃত্যুর মুখে সম্মুখীন হতে হবে।
আর মৃত্যুর মুখে যাতে না পড়তে হয় সেই কারনে রোগের লক্ষন দেখা মাত্রই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং পূনাঙ্গ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যাবে।
লেখক ও সমাজকর্মী