জীবন চলার ঘূর্ণিপাকে আজ আমি প্রতিরুদ্ধ
আঁধার-কালো দিনযাপনে-
স্বাধীন তবু কারারুদ্ধ৷
যেন সূর্যরাশির তেজস্ক্রিয়ায় মলিনতার ছন্দ
আজ চন্দ্র-তারার রূপকথা জোশ হারিয়ে নিরানন্দ৷
দুর্ভোগ আজ পিছু নিয়ে করছে যে বীরত্ব
জীবন ক্ষুধায় অনাহারে অশ্রু ভেজায় সিক্ত
সময়-সুযোগ অপহরণ তবু হয়নি সেটা ক্ষান্ত
উহান থেকে ছড়িয়ে আজ সারাবিশ্ব শনাক্ত৷
স্বজনপ্রীতি বন্ধ আর ধরা-ছোঁয়া মুক্ত
আবেগ-বিবেক লোপ পেয়ে-
আজ মানবতা ক্ষুব্ধ৷
ডাক্তার-নার্স ক্লান্ত কেউ নিজেও আক্রান্ত
মৃত্যুপুরীর ঝনঝনানি কাঁপছে সারাবিশ্ব
ব্রহ্মাণ্ড থমকে গেছে বসবাস অযোগ্য৷
আকাশপানে চেয়ে আছি কবে হব রোগমুক্ত
বিজ্ঞান আজ অসহায় যেন করুণার-ই পাত্র
নেটওয়ার্ক আজও শক্ত তবু সংস্পর্শ মুক্ত
গৃহের কোণায় বন্দি সবি, হয়েও পথ উন্মুক্ত৷
কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুরী কাজ না পেয়ে অন্ধ
নিম্ন শ্রেণি খাদ্যাভাবে, ত্রান পেয়ে কেউ তুষ্ট
“খাদ্যবক্স তলাশূন্য- তবু লজ্জায় মুখবন্ধ
সন্মান তাজ মাথায়- কেটে দিব্যি মধ্যবিত্ত”৷
শাসক-শাসিত এক সারিতে দিশেহারায় মত্ত
শাসন-ত্রাসন ছিল যাদের স্বাধীন করে নিস্তব্ধ
সবে আজ কাতারবদ্ধ যেন শিরনত বাধ্য
জালেম আজ পরাজয়- মাজলুম উন্মুক্ত৷
এই সুযোগেও হাতছাড়া নেই নাস্তিকতার গন্ধ
কুরআন-কিতাব বাদ দিয়ে-
যারা বিজ্ঞানমুখী অন্ধ
নিত্য নতুন ইস্যু-ই যেন ধর্মে প্রশ্নবিদ্ধ৷
তাদের সাথে মিলিয়েছে তাল কিছু ধর্মান্ধ
পবিত্রতার ধার ধারেনা-
মোহ শুধু দলান্ধ৷
রবে তরুণ অরুণ গৌরবে-
নিজ কাঁধে তুলে দায়িত্ব
স্বেচ্ছাসেবায় ব্রত যারা খাটছে দিবারাত্র৷
বিধাতার দিকে দৃষ্টি সবার হয়ে আছে উন্মুক্ত
“আলেম-তাপস দিব্যচক্ষে
একটাই জপে বাক্য
করোনায় যেন না হয় করুণ-
বিশ্ব হোক বিপদমুক্ত৷”
বি.দ্রঃ আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম৷ সেই সাথে সারাবিশ্বে করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় ইতি টানলাম৷ মাআ’সসালাম
দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন৷ বাবার নাম মাওঃ ছালাহউদ্দিন দেওয়ান ও মায়ের নাম ছালেহা খাতুন৷ চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলা, ফরক্কাবাদ গুলিশা গ্রামের দেওয়ান বংশের সন্তান৷ বর্তমানে অনার্স করছেন চাঁদপুর সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে৷ ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি কবিতা, গজল-সংগীত ও আর্টিক্যাল লেখার প্রতি বেশ ভালোলাগা কাজ করে৷ বলতে গেলে, বরাবরই বাংলা সাহিত্যের প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে তার৷