বাংলাদেশের এই খবর গুলো দেখলে অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে । মানবিকতা বিহীন জীবন ।
আমি নিজেই এবার দেশে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ফেইস করেছি । এই করোনা যে কত কি দেখার বোঝার , উপোলব্ধী করার সুযোগ করে দিলো।
কার ঘরে কয়টা গরু ছাগল আর কার দেশে কয়টা আবাল আছে করোনা কালে তারা মুখ বের করে নিজের পরিচয় নিজেই দিয়েছে ।
পরিবার টিকে এমন করে মরার আগে মারার কোনো মানে হয় ! যে কোন ব্যবস্থা করে হলেও ওদের সাহায্য করা যায় । জানি না কত টুকু সত্য মিথ্যা তবে আমি এই টুকু বুঝেছি , এই দেশের সরকারের সুখ সুবিধা মানবিকতা উদারতা দেখে সত্যি বিশ্মিত । আমরা যারা হোটেল কোয়ারেন্টাইনে আসলাম ।
প্লেনে উঠে ভেবেছিলাম , না জানি ওরা কেমন করে , ছি : ছি : দূর দূর করবে না তো ? আমাদের চিন্তায় পানি ফেলে দিয়ে দেখালো ওরা , সেই এয়ারপোর্ট থেকেই শুরু হলো ওদের যত্ন , হাসি মুখে কথা বলা , সম্ভাষণ , এবং বার বার দেখেছি সবার মুখেই হাসি মুখে বলতে , ওয়েলকাম । সরি তোমাদের ফিরিয়ে আনতে লম্বা কিউ মেইনটেইন করতে করতে এতোটা দেরী হলো এই দেশে । এবং দেখিনি সব মানুষকে পিপি পরে রবোটিক হয়ে ২০-৩০ মিটার দূরে থাকতে আমাদের কাছ থেকে ।
বরং আমরা সঙ্কোচিত হয়ে টেবিলের কলম ছঁুয়েছি , ইভেন আমাদের ব্যাগ গুলো তারা যত্নে তুলে নিয়ে ঘরে দিয়ে এসেছে , সেহেরী থেকে সন্ধ্যা অবধি এতো এতো খাবার দেয় , যা কিছু চাহিবা মাত্র হাজির করে দেয় ।
তবে কি এদের মৃত্যু ভয় নেই ,? নাকি এরা অসেচেতন ?, না মোটেও তা নয় , এরা সবার উপরে মানবিক , এরা মরার আগে মেরে ফেলে না । মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে । এজন্য এরা করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে আছে নিউজ পড়লেই বুঝতে পারবেন । কিছুদিন আগেও দেখেছেন কত বড় একটা দাবানল হাদসা হয়ে গেল , হয়ত বলবেন বড় দেশ , ধণী দেশ , ওরা পারে ! আমাদের দেশ গরীব ! ঠিক বলেছেন গরীব । কিন্তু এটাও তো ঠিক যে মানবিকতা হীন আমরা , বড্ড বেশী স্বার্থপর , তা না হলে সংকট কালে ত্রান চুরি করে কেউ , প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম তুঙ্গে তুলে মানুষকে হয়রান করে ?
একজন সরকারের উপরেই যেন আমরা হাত ধুয়ে বসে আছি সকল কাজের কাজী বানিয়ে , কি করে সম্ভব এমন অনিয়মের দেশে সুস্থ হয়ে কাজ করা । স্বয়ং আল্লাহ রক্ষা করুন । ত্রান দেয় চার আনা চোরেরা ছবি তুলে পোষ্ট দেয় বারো আনা , শো অফ করে সরকারকে দেখায় , অসৎ নেতারা বুলি ঝারে , সরকারকে তেল বাজী করে , মূর্খের মতো কথা বলে , মনে হয় যেন সরকার বাহাদুর বোঝে না ওদের কথা ।
নিয়ম ভাঙ্গার ছলে আমরা দূষিত আজ সর্বক্ষেত্রে । অন্যদের দেখেও শিখি না । এদেশের কথা ভালো বল্লাম দেখে কারও গায়ে নুন ছিটাইনি কিন্তু শুধু বোঝালাম কি করে মানবিক হওয়া যায় । সেটার একচিমটি নজীর দিলাম একটু , নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ।
আসল কথা হলো এমন খবর গুলো দেখলে মাথা ঠিক রাখা দায় । বিগরে যায় ।
যেমন বিগরায় বারো রকমের জিলাপীর প্যঁাচ দেখে । আজ সকাল আর লান্চে জন্য যদি এতো গুলো খাবার আসে , আর গরীব দেশে থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেও যদি আমাদেরকে ফাইভ স্টার হোটেলে রেখে সার্বক্ষনিক সুবিধার জন্য তৎপর থাকে , তবে কেন নতজানু হয়ে এই সংকট সময়ে কৃতজ্ঞতা জানাবো না আপনারাই বলুন ।
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে “বিষাদ-সিন্ধু” আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।