উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাকালীন অনেকে আমরা চাকরি হারাচ্ছি। আমরা এই চাকরি গুলো হারাচ্ছি কারণ আমাদের ব্যবসায় আগের মত নেই। তাই যারা মালিক কিংবা নিয়োগকর্তা আছেন তারা তাদের কর্মচারীদের ছাঁটাই করছেন, তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত মনে করছেন। আর যারা এখন চাকরি হারাচ্ছেন এটা অবশ্যই তাদের অদক্ষতার কারনে নয়। এটা একটা বৈশ্বিক মন্দার ফল। আর আমাদের এই বৈশ্বিক মন্দাকে মেনে নিতে হবে এবং সাথে সাথে আপনাকে নতুন করে চাকরি কোথায় আছে, কোন সেক্টরে আছে, কোথাকার জন্য আপনি সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত সেটা খুঁজে খুঁজে আপনাকে দেখতে হবে।
আপনি কিভাবে চাকরি খোঁজার জন্য নিজেকে তৈরি করবেন তা বলছি। আমরা অনেকে আছি যারা ‘ফেসবুকের’ সাথে যুক্ত, ‘লিংকডইন’ এর সাথে যুক্ত। আমরা আমাদের সাথে যুক্ত যারা আছেন তাদেরকে চাকরির জন্য বড় করে একটা মেসেজ লিখি। যেটা আমরা ইমেইলে, মেসেঞ্জারে, ফেসবুকে, লিংকডইন এ সবাইকে একই মেসেজ পাঠাই। এতে করে যিনি মেসেজ টা পাচ্ছেন তিনি বুঝতে পারছেন যে এটা কোনো কাস্টমাইজড মেসেজ না, এটা হচ্ছে একটা গণ মেসেজ। তাই উনি এটাকে আলাদা করে গুরুত্ব দেন না। এমনকি অনেকে নিজের যে সমস্যাটা হয় সেটা নিজের ভাষাটায় এমনভাবে লিখেন যে তিনি প্রচণ্ড পরিমাণে সমস্যায় আছেন, পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারছেন না, এমন সব পারিপার্শ্বিক সমস্যাগুলো তুলে ধরেন যে একটা চাকরি লাগবেই। তাই আমি বলব, আপনি যদি নিজেকে এভাবে উপস্থাপন না করে যদি এভাবে বলেন আপনি কোথায় কোথায় দক্ষ্য, ওই প্রতিষ্ঠানে আপনি কোথায় ভূমিকা রাখতে পারবেন সেই দিকগুলো কাস্টমাইজ আকারে লিখে আপনি আপনার পরিচিতদের পাঠান। এতে করে আপনার কর্ম দক্ষতা সম্পর্কে তারা জানতে পারবে।
এভাবে গনহারে ইমেইল বা মেসেজ বা এস.এম.এস না পাঠিয়ে কাস্টমাইজ আকারে পাঠিয়ে, ফোন করে চাকরি খুঁজতে পারেন। এটা আপনার জন্য একটা টিপস। সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে ফেলতে পারেন অনলাইনে। লিংকডইন, ইউডেমি, কোর্সেরার মত সাইটে গিয়ে ফ্রি কিছু কোর্স করে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনার কোথায় দক্ষতার অভাব আছে সেটা যদি আপনি অনুধাবন করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেকে আরেকটু আপগ্রেড করে ফেললেন এবং ভবিষ্যৎ চাকরির জন্য কনফিডেন্ট থাকলেন।
হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এটা শুধু কিছুদিনের জন্য আপনি একটা চেলেঞ্জিং জীবন কাটাচ্ছেন। অবশ্যই আপনি এই চেলেঞ্জ ওভারকাম করতে পারবেন। আমি আবারও বলব যারা চাকরি খুঁজছেন, যারা এই মুহুর্তে বেকার আছেন হতাশ হওয়ার কিচ্ছু নেই। আত্মবিশবাসী হউন। নিজেকে ভালোবাসুন। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরি করার সময় এখনই।
লেখক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মী