আমি জানতাম

আমি জানতাম তুমি একলা বাড়িটা দেখে যাবে চুপিচুপি
হাজী সাহেবের তালগাছটার নিচে দাঁড়াবে নদী মুখী দক্ষিণে
আমি জানতাম তুমি খোঁজ করবে ডাকাতীয়া, খিলার খাল
আমি জানতাম তুমি হেটে যাবে এই পথে নদীটির পাড় ঘেসে

আমি জানতাম এ পথের ধুলা তোমার খালি পায়ের ছোঁয়া পাবে
আমি জানতাম তুমি বেদে নৌকায় খোঁজ নিবে মানিকের
আমি জানতাম তুমি বাউলদের ভিড়ে আমার মুখটা খুঁজবে
খুঁজবে খিলা বাজারে গান গেয়ে ঔষধ বিক্রেতাদের দলে

আমি জানতাম তুমি খুজবে নারায়ণ মাস্টারের পেয়ারা গাছটা
আমি জানতাম তুমি দেখতে চাইবে ‘কল্পনা’ এখন দেখতে কেমন
কেমন আছেন রমেশ পাল, গিরেন্দ্র কাউলি, মধুসূদন, চিত্ত রঞ্জন
আমি জানতাম হরে কৃষ্ণদের বেদখলী ঘর ভিটাটাও দেখতে যাবে

আমি জানতাম তুমি সুনীল, সুশীল, দুলাল ছিন্ন ভিন্ন পঁচাত্তরে
আমি জানতাম তুমি দেশ ছাড়াদের জন্মভূমি দেখতে যাবে
অন্ধকারের বাতিঘর মতিন মোঘল অথবা মান্নান স্যার, আর
পোদ্দার বাড়ির শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে বসতে চাইবে তুমি

আমি জানতাম তুমি প্রশন্নপুরের পথে পথে খুঁজে বেড়াবে আমায়।

তাই তো আমি প্রশন্নপুরের পথ হয়ে আছি
তাই তো আমি আজ ও সেই পথের ধুলা হয়ে বাঁচি।