জীবন মরণ বন্ধুত্ব – প্রতিশোধ (২ খন্ডের ১ম খন্ড)

নিজের জন্য শান্তনা খুঁজতে গিয়েই লেখাটার শুরু। হয়তো লেখাটা আপনার ভালো না ও লাগতে পারে। পড়ার ইচ্ছা হলে – পড়ুন – তবে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমার এই লেখাটি সবার জন্য নয়। যারা সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন বালা মসিবতে আছেন হয়তোবা তাঁদের জন্য।

বিবাদ শুরুর বিষয় গুলি এমন হতে পারে:
* অসম্মান, অবহেলা, অবজ্ঞা এবং অবিশ্বাস
* আগে তাকে প্রচুর সময় দিতেন – এখন দিচ্ছেন না – কারণ…
* আগে আপনাকে অনেক সময় দিতো – এখন দিচ্ছে না – কারণ…
* কেউ আপনার পিছনে লেগেছে আপনি তাকে সময় দিচ্ছেন না
* সাথে থেকেও আপনার পিছনে কুৎসা রটাচ্ছে
* ধীরে ধীরে আপনজন বন্ধুদের থেকে আপনাকে আলাদা করে দিচ্ছে (obsession)
* ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি

ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক:
আগে একে অপরকে প্রয়োজন ছিল – এখন আর প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক। সম্পর্ক জোর করে হয় না। জোর করে ধরেও রাখা যায় না। এমনকি বৈধ কাগজ ও এই সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। জোর করলেই বিপদে পড়বেন – কারণ – এখানে এখন আর সেই আগের প্রয়োজনের আন্তরিকতা নেই। একটু বুঝতে চেষ্টা করুন। সম্পর্ক ধরে রাখার দায়িত্ব – সম্পর্কের সাথে জড়িত সবার। আপনিও এই সম্পর্কের একজন। একজন দায়িত্বপূর্ণ সদস্য। মানুষ সব সময় নিজের সমালোচনা নিজে করতে চায় না। শুনতেও পছন্দ করে না। অভিযোগের আঙ্গুল টা অন্য কারো দিকে দিতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যকে বিচার করার আগে নিজেকে দেখুন। সম্ভব হলে পরিবর্তন এনে সম্পর্কটা আনন্দময় করে তুলুন। যার ভালোবাসার প্রয়োজন তাকে বেছে নিন। ভালোবাসার জন্যে ক্রীতদাস বনে যাবেন না।

সম্পর্ক শেষ মানে – পৃথিবী এখানেই শেষ নয়।

নিজেকে সামলে নিন। নিজের ভালো অভ্যাস গুলি ধরে রাখুন। কাউকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া – কারো ক্ষতি করার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলুন। বিশ্বাস রাখুন সৃষ্টিকর্তার উপর। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। সুবিচারের সুষম বন্টনের কোন ফাঁকফোকর নেই প্রকৃতির কাছে।

এখন, যখনই আপনি দমে যাবেন। বিবাদ এড়িয়ে যাবেন। ঝামেলায় জড়াতে চাইবেন না। কেউ কেউ হয়তো আপনার ভালো মানসিকতার সুযোগ নিবে। আত্মীয়তার সুযোগ নিবে কেউ কেউ। যত কঠিনই হউক পরিস্থিতি কখনো কাউকে আপনি:
* অসম্মান করে কথা বলবেন না
* কারো ক্ষতি করার চিন্তা মাথায় রাখবেন না
* ব্ল্যাকমেল করবেন না (প্রমান দিয়ে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় না)
* খারাপের সাথে প্রতিযোগিতায় যাবেন না – নিজে মানুষ থাকুন

মানুষ হয়ে মানুষকে শ্রদ্ধা করতে জানা এবং মানুষের আত্মসম্মান নষ্ট করলে আপনি নিজেও বাদ যাবেন না, বুঝতে শেখা

কারো ক্ষতি করে আপনি মহান হয়ে যাবেন না। বরং অন্যের ক্ষতি করার সকল রকম সুযোগ সুবিধা থেকেও – ক্ষতি না করাটা হলো আপনার “ক্ষমতা”। এর চেয়ে বড় ক্ষমতা পৃথিবীতে আর কিছু হতেই পারে না।

কেউ কারো জন্যে পরিবর্তিত হয় না। পরিবর্তন তার ভিতরে আছে বলেই এখন সেটা প্রকাশ পেয়েছে। “তার জন্যে আজ আমি খারাপ হয়েছি – খারাপ হতে বাধ্য হয়েছি” – এমন কথা থেকে বিরত থাকুন। নিজের দিকে তাকান। নিজেকে শুধরে নিন। আপনি খারাপ হতে না চাইলে – কেউ আপনাকে খারাপ করতে পারবে না।

দ্বিতীয়, শেষ খন্ডে থাকবে:-
* কার সাথে বন্ধুত্ব করবেন:
* কাকে সাহায্য করবেন :
* প্রতিশোধ:
* অপরাধমূলক কার্যক্রম – মিথ্যা এড়িয়ে চলা:
* উপসংহার:-

লেখাটা কারো ভালো লাগলে জানাতে ভুলবেন না।