আমি দেখিয়াছি তার
অন্ধকার
ঝিঁঝিঁ পোকার নিরবচ্ছিন্ন
জাবর কাটায়
আধা খাওয়া পাকা পেঁপে
সদর বারান্দার গাছে
পুনরূজ্জীবিত হতে!
আমি দেখিয়াছি তার
ক্ষণজন্মা
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু
ধীরে লয়ে হারিয়ে যায়
মিলিয়ে যায়
বিন্দু বন্দু বাতাসের কণা বেয়ে
পুনর্জন্মে নিতে!
আমি দেখিয়াছি তার
ভ্রূণ
তার জঠরে বেড়ে উঠা
ঘনবর্ষণ বনাঞ্চল
সাধু সন্ন্যাসীর আনাগোনা
সৌম্য প্রশান্তির
বৃক্ষরাজী
ঝরা পাতা মাটি ছুঁয়ে
অর্পিত হতে!
আমি দেখিয়াছি তার
মহামায়া
জলে স্থলে পর্বতে
বট বৃক্ষের ছায়ায়
ক্লান্তিতে
করতল তাঁর ছোঁয়
করতল
আঙ্গুল খোঁজে শেকড়
মৃত্তিকার মাঝে!
আমি দেখিয়াছি তার
রাক্ষসী
থাবা, ধর্ম, বর্ণে, জাতে
আলো বিভক্ত প্রদীপে
প্রদীপে
উনোনে আগুন আলো
মশাল হস্তে ভন্ড মানব
রাম’দা হৃদয়ে!
আমি দেখিয়াছি তার
শকুন
উন্মাদনা, স্বার্থপর দৃষ্টি
পোড়া অঙ্গার মানবতা
অবিশ্বাস
খেয়ে বিশ্বাসী হয়ে উঠে
পূর্ণভূমি ছেড়ে কাফের দানায়
বিশ্বাসী সাঁজতে!
আমি দেখিয়াছি তার
অন্ধকার!
বলি দিয়ে তোমার নামে
সনাতনকে করে উপহাস
হে স্রষ্টা
রহম চাই, হে মালিক
বর্ষিত হউক বারিধারা
প্লাবনে
শেষ প্রান্তের আলো
মানুষ বাঁচাতে!
কবি, কথা সাহিত্যিক, মানবতাবাদী, সমাজকর্মী ও আইটি বিশেষজ্ঞ