বেঁচে থাকা

সে বলেছিলো
সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না
সে দিব্যি বেঁচে থাকবে অক্সিজেন ছাড়া
বছরের পর বছর
আমি থাকলে পাশে!

আমিও
দুষ্টামি ভরা কণ্ঠে বলেছিলাম
মঙ্গল গ্রহে তুমি আমি নির্দ্বিধায়
সবার আগে যাবার সুযোগ পাবো তবে!
অক্সিজেন উৎপাদনের ঝামেলা থেকে
বেঁচে যাবে নাসা।

সে বলেছিলো
আমি ছাড়া তাঁর কোন লাইফ সাপোর্ট নেই
সে যে কোনো মহাসাগরের
এপার থেকে ওপার
দিব্বি হেটে চলে যাবে
আমার হাত, তাঁর হাতটা ধরে থাকলে!

আমিও
হেসে হেসে বলেছিলাম – সোনা
সব জোতিষীরাই আমার হাতটা দেখে
হাতে হাত রেখে বলে
তোর মৃত্যু জলে
সাবধানে থাকিস বাছা!

সে বলেছিলো
সে ভূমিহীন নয় আমার জন্যে
আমি ছাড়া তাঁর আর নিজস্ব ভূমি নেই
বারোমাসি, উর্বর চাষাবাদ জমি
সে ক্ষুধা কাতর হতে হবে না কখনো
যদি আমি
আমৃত্যু সম্পত্তি থাকি তাঁর।

আমিও
হেসে হেসে বলেছিলাম – জমিদার
বঙ্গে, ভূমি দস্যুদের থেকে সাবধান
কোথায় কখন, কে কার সাইনবোর্ড
ঝুলিয়ে দিবে – কে জানে
বেদখল হতে দিও না জমি!

সে বলেছিলো
সে মানুষের সেবায় থেকে যাবে
ক্লান্তিহীন আজীবন মানুষের পাশে
ভালোবাসা পেলে ডাকাতীয়ার
প্রেমে থেকে গেলে বাউল
এই বাউলীর হাত ধরে!

আমিও
অবাক কণ্ঠে বলেছিলাম – সেবী
ভিক্ষার চাল কিংবা দিগম্বর সাধু?
ডাকাতীয়ার পাড়ে বসে ধ্যানে মগ্ন সে
খেয়াল রেখো
জলের ঢেউয়ে মোহ আছে বাউলের!

সে বলেছিলো
সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না
আমিও
দুষ্টামি ভরা কণ্ঠে বলেছিলাম
অমর হবে তুমি!