ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া,সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও কর্ণে – কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য।
বৈশাখের আকাশে গনগনে সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন জানান দেয় তার সৌন্দর্যের বার্তা। গ্রীষ্মের এই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা চাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরে আপন মহিমায়। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি, যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের দ্যোতনা।
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এ গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় ১২/১৫ মিটার,তবে শাখা-প্রশাখা অনেক বিস্তৃত। শখের বসে এ গাছের কদর থাকলেও এর কাঠ তুলনামূলক দামী না হওয়ায়, বানিজ্যিকভাবে এর বপনে আগ্রহ কম।
কবিগুরু রবি ঠাকুরের ভাষায়, গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে/তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণ চূড়ার মঞ্জুরি আজ টিকে আছে নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে। বৃক্ষ নিধনের স্বীকার হয়ে চাঁদপুরে দিন দিন কমে যাচ্ছে রঙিন এ গাছ। একসময় এ গাছ হারিয়ে যাবার শঙ্কায় পরিবেশবাদীরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির স্বার্থে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রকৃতিবিদরা।
লেখক ও সমাজকর্মী